গণতন্ত্র চর্চার সুযোগ দিতে হবেঃ রাশেদ খান মেনন
ই-বার্তা ডেস্ক।। একাদশ সংসদ নির্বাচন সফল হলেও অভিজ্ঞতা সুখকর নয় মন্তব্য করে নির্বাচনের যথাযথ মর্যাদা ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন রাশেদ খান মেনন।
রোববার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় মেনন বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ১৪ দলের শরিকদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে বলেছেন। কিন্তু যদি গণতান্ত্রিক স্পেস না থাকে তাহলে কেউ সংগঠন নিয়ে এগিয়ে যেতে পারে না। সেই স্পেস তৈরি করতে হবে। যদি রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভিন্ন অংশ দেশের ওপরে নিয়ন্ত্রণারোপ করে তাহলে রাজনৈতিক দল কেবল নির্বাচন নয়, রাষ্ট্র পরিচালনায়ও অপ্রসাঙ্গিক হয়ে উঠবে। এটা যেমন আমাদের জন্য প্রযোজ্য, সরকারি দলের জন্যও তা প্রযোজ্য। নির্বাচনকে তাই যথাযথ মর্যাদায় ফিরিয়ে আনতে হবে।”
সাবেক মন্ত্রী মেনন বলেন, “৩০ ডিসেম্বরের একাদশ সংসদ নির্বাচন সফল নির্বাচন, কিন্তু অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। এ নির্বাচনে অনিয়ম হয়েছে অভিযোগ এনে ঐক্যফ্রন্ট গণশুনানি করেছে। তাতে দল ও প্রার্থী ছাড়া তারা জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারেনি। সেক্ষেত্রে শুনানিতে তাদের ঘুমানো ছাড়া অন্য কিছু কী আশা করা যায়? তবে আত্মতৃপ্তিতে ভোগার সুযোগ নেই। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দল অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন ও জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের আন্দোলন করে সফলতা অর্জন করেছিলাম। তা যেন এভাবে হারিয়ে না যায়। এ ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে।”
স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে সাংসদদের প্রভাব না খাটানোর আহ্বান জানিয়ে মেনন বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সংসদ সদস্যদের নির্বাচনী এলাকায় যেতে নিষেধ করেছেন। নির্বাচন কমিশনের আইন মেনে চলতে হবে। সরকার ও দলের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে।সরকার ও দলের পক্ষ থেকে যদি এই বিষয়ে নিশ্চয়তা বিধান না করা হয় তাহলে মানুষের মাঝে যে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টি হয়েছে তা রয়ে যাবে। এই নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দূর করতে উপজেলা নির্বাচন অবশ্যই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে হবে। প্রশাসনের সকল হস্তক্ষেপ মুক্ত করতে হবে। সরকার ও নির্বাচন কমিশন উভয়কেই এই নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে।”
ই-বার্তা/মোঃ সালাউদ্দিন সাজু