ইসলাম নয়, নিপীড়নের কারণেই জঙ্গিবাদের সৃষ্টিঃ ইমরান খান
ই-বার্তা ডেস্ক।। বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত শাসিত কাশ্মীরে থাকলে হাতে বন্দুক তুলে নিতেন বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে এমন মন্তব্য করেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
কাশ্মীরের ৫৫ দিনের অব্যাহত কারফিউর কথা উল্লেখ করে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘কারফিউ উঠে গেলে সেখানে রক্তস্নান হবে। আরও একটা পুলওয়ামা হবে। ভারত তখন পাকিস্তানকে দুষে ফের বোমা ফেলতে আসবে।’
ইমরান খান বলেন, ‘মনে করে নিচ্ছি, আমি কাশ্মীরের জেলে রয়েছি। শুনছি ভারতীয় সেনারা বাড়িতে হানা দিচ্ছে, ধর্ষণ করছে। আমি কি সেটা মানতে পারতাম? আমি বন্দুক তুলে নিতাম।’
পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত সরকার কাশ্মীরিদের সে দিকেই নিয়ে যাচ্ছে আর আমাদের ঘাড়ে দায় চাপাচ্ছে।… ইসলাম নয়, ন্যায়বিচার বঞ্চিত করা এবং নিপীড়নের কারণেই জঙ্গিবাদের সৃষ্টি হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমি কোনো হুমকি দিচ্ছি না, কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও ভাবতে হবে- তারা ১৩০ কোটি মানুষের ভারতীয় বাজারকে তোষণ করবে, না নিরপরাধ নির্যাতিত মানুষের ন্যায়ের জন্য লড়বে? তা না হলে ভালো আশা আপনারা করতেই পারেন, কিন্তু খারাপের জন্যও তৈরি থাকুন।’
তিনি আরও বলেন, “নরেন্দ্র মোদি আরএসএসের আজীবন সদস্য। যে আরএসএস হিটলার-মুসোলিনির আদর্শে তৈরি। এরা জাত্যভিমানের উপাসক। আরএসএস ভারত থেকে মুসলিমদের মুছে ফেলার ‘জাতি-শোধন’ তত্ত্বে বিশ্বাস করে।”
ইমরান খান বলেন, ‘সাবেক কংগ্রেস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন- আরএসএস ক্যাম্পে জঙ্গি তৈরি হয়। এই জঙ্গিরাই গুজরাটে ২০০০ জনকে হত্যা করেছিল। ঘরছাড়া হয়েছিল দেড় লাখ মুসলিম।’
ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু