চীনা ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের অনুমতি দিল সরকার

চীনা কোম্পানি সিনোভ্যাককে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চালাতে সম্মত হয়েছে সরকার। ঢাকায় চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। খবর বিবিসি বাংলা।

সচিবালয়ের সভাকক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা ট্রায়াল করতে দেব। তবে যারা স্বেচ্ছায় আসবে তাদেরই ট্রায়াল করতে দেওয়া হবে। আর অগ্রাধিকার পাবে ডাক্তার, নার্সসহ যারা স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে জড়িত তারা।”

জাহিদ মালেক আরও বলেন, “আমরা ট্রায়াল চালাতে দেব। কিন্তু ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে আমাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। যেসব দেশ পাবে তার ওপরের দিকেই বাংলাদেশের নাম থাকতে হবে। আর এ সংক্রান্ত খরচও তারা বহন করবেন।”

ভ্যাকসিনের সব প্রস্তাব বা অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন। বিশেষ করে চীনের, ভারতের এমনকি অক্সফোর্ডের টিকার বিষয়েও অগ্রগতি প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে।বাংলাদেশে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আইসিডিডিআরবির সহায়তা ট্রায়াল কার্যক্রম চালাবে চীনা কোম্পানি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা চীনা কোম্পানি ও রাষ্ট্রদূতকে জানিয়ে দিয়েছি। বাংলাদেশে থাকা চীনের নাগরিক ও দূতাবাসের লোকদের ওপরও ট্রায়াল করবে কোম্পানিটি। আমরা তাদের বলেছি যে আপনারা ট্রায়ালের ব্যবস্থা করুন।”চীনা সরকার ও সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করে তারা (বাংলাদেশে চীনা দূতাবাস) দ্রুত ট্রায়ালের ব্যবস্থা করবে বলেও জানান তিনি।

এর আগে ২০ আগস্ট করোনাভাইরাসের টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বাংলাদেশে হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করে বিবৃতি দিয়েছিল বাংলাদেশের কভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশের মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে এই ট্রায়াল বাংলাদেশে চালানো উচিত।

preload imagepreload image