চীনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে বাংলাদেশ উপকূলে রাডার বসাবে ভারত
ই-বার্তা ডেস্ক।। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গত ৫ অক্টোবর যে সাতটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে তার অন্যতম হল যৌথভাবে একটি ‘কোস্টাল সার্ভেল্যান্স’ বা উপকূলীয় নজরদারি ব্যবস্থা চালু করা। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ভারত ২০টি আধুনিক রাডার সিস্টেম বসাতে সাহায্য করবে।
বিবিসি বাংলার এক খবরে বলা হয়েছে, শনিবার দিল্লির হায়দরাবাদ হাউজে ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীদের উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে যে মোট সাতটি সমঝোতা স্মারক হস্তান্তর হয়েছে তার মধ্যে সপ্তম তথা শেষটি ছিল এই কোস্টাল সার্ভেল্যান্স সংক্রান্ত। এই দলিলটির শিরোনাম ছিল বাংলাদেশকে ‘একটি উপকূলীয় নজরদারি সিস্টেম প্রদানের জন্য এমওইউ’ বা সমঝোতাপত্র। সমুদ্রপথে কোনো সন্ত্রাসবাদী হামলার চেষ্টা হলে- যেমনটা এক দশক আগে ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইতে হয়েছিল- তার আগাম খবর পেয়ে যাওয়া সম্ভব এই ধরনের সিস্টেমের সাহায্যে।
ভারতের সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, বঙ্গোপসাগরীয় উপকূলে সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এটি হবে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই সমঝোতা অনুযায়ী বাংলাদেশের উপকূলে ভারত যে ধরনের রাডার সিস্টেম বসানোর কাজ করবে, প্রায় একই ধরনের সিস্টেম ভারত এর আগে মরিশাস, সেশেলস, মালদ্বীপের মতো ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রগুলোতে বসিয়েছে।
ভারত কেন এই আধুনিক রাডার ব্যবস্থা বাংলাদেশের উপকূলে বসাতে আগ্রহী সে বিষয়ে কুয়ালালামপুরের মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চীন বিভাগের ড. সৈয়দ মাহ্?মুদ আলী বিবিসিকে বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে দুই দেশ যা-ই বলুক না কেন দিল্লির সরকার ভারত সাগরের বিভিন্ন দ্বীপরাষ্ট্রে যে অত্যাধুনিক নজরদারির ব্যবস্থা গড়ে তুলছে তার আসল উদ্দেশ্য চীনের নৌবাহিনীর গতিবিধির দিকে নজর রাখা।
তিনি বলেন, চীন সম্পর্কে ভারতের যে উত্কণ্ঠা রয়েছে এবং বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে, তা কিছুটা নিষ্ক্রিয় করতেই ভারত সরকার অবশ্যই চাইবে এটা প্রমাণ করতে যে, বাংলাদেশের ওপর তাদেরও কিছুটা হলেও প্রভাব রয়েছে।
ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু