বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জন্য ভুটানের দুয়ার উন্মুক্তঃ শেরিং
ই-বার্তা ডেস্ক।। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের ভুটানের সঙ্গে ব্যবসা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং বলেন, আমার দেশ স্থলবেষ্টিত, তা সত্যি। কিন্তু বন্ধুরা, আমাদের হৃদয় বন্ধ নয়। ব্যবসার জন্য আমাদের দুয়ার উন্মুক্ত।
এর আগে ৩০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে শুক্রবার সকালে ঢাকা পৌঁছান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের সাবেক ছাত্র ডা. শেরিং গতবছর ৭ নভেম্বর নিজের দেশে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবার বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। পরে শুক্রবার বিকালে তিনি মুখোমুখি হয়েছিলেন এ দেশের ব্যবসায়ীদের।
বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতাদের উদ্দেশে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যদি মনে করে যে ভুটানিরা তাদের কাছের মানুষ, আমার মনে হয়, আপনাদের এগিয়ে আসা উচিৎ।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পর সবার আগে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছিল ভুটান। সে কারণে দুই দেশের সব সময়ই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান।
কিন্তু ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর মতে , এটা যথেষ্ট নয়। তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে বাণিজ্য বৈষম্য এত বেশি কেন? আমি শুনেছি আপনাদের রফতানি বাণিজ্যের পরিমাণ ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু ভুটানে আপনারা রফতানি করেন মাত্র ৩ মিলিয়ন ডলারের। আমরা যদি সত্যিই ঘনিষ্ঠ হই, আমার মনে হয় আমাদের ব্যবসাটা বাড়ানো উচিৎ।
বাংলাদেশের উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের এই আয়োজনে এই অনুষ্ঠানে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মূল বক্তা।
অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, এফবিসিসিআই সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, সহ-সভাপতি মো. মুনতাকিম আশরাফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আগামী দিনগুলোতে বাণিজ্য সম্পর্ক আর এগিয়ে নিতে এ অনুষ্ঠানে দুই দেশের শিল্প ও বণিক সমিতির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষরিত হয়।
লোটে শেরিং মনে করেন, সমঝোতার পর যদি কোনো উদ্যোগ না থাকে, আন্তরিকতা যদি না থাকে, তাহলে ওই সমঝোতা স্মারকও কোনো অর্থ বহন করবে না। এই সমঝোতার ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ যাতে নেওয়া হয়, আমাদের দিক থেকে আমরা তা নিশ্চিত করব। আমরা যা বলছি, তা যেন কাজের রূপ পায়, তা আমি দেখব।
ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু