বাসের হেলপার থেকে কোটিপতি!
ই-বার্তা ।। কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার বাসিন্দা নুরুল হুদা। পেশায় ছিলেন শ্যামলী পরিবহন বাসের চালকের সহকারী। বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরের অভিজাত এলাকা নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটিতে ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকেন। রয়েছে নিজস্ব গাড়িও।
কোনো জাদুর কাঠির ছোঁয়া নয়, ইয়াবা ব্যবসা করে হঠাৎই আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে বাসের এই হেলপারের। শনিবার গভীর রাতে নগরের পাঁচলাইশ থানার ২ নম্বর গেইট এলাকা থেকে তাকে ও তার গাড়ির চালককে গ্রেফতার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় তার গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার নুরুল হুদা কক্সবাজারে চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী গ্রামের পূর্বপাড়া সেগুনবাগিচা এলাকার মৃত বদিউর রহমানের ছেলে। বর্তমানে থাকেন নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির এলিগ্যান্ট টাওয়ারের চতুর্থ তলায়। তার চালক মোহাম্মদ করিম ফটিকছড়ি উপজেলার ধর্মপুর নুর উদ্দিন সওদাগর বাড়ির নুরুল হকের ছেলে।
নুরুল হুদা ও মো. আব্দুল আজিজ
নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. হাবিবুর রহমান সমকালকে জানান, নুরুল হুদা পাঁচ-ছয় বছর আগেও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে শ্যামলী পরিবহনে চালকের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। বাসে হেলপারের কাজ করার আড়ালে টেকনাফ থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট এনে চট্টগ্রামে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করতেন। এভাবে ইয়াবা বিক্রি করে হেলপার থেকে কোটিপতি বনে গেছেন নুরুল হুদা। এখন নগরের অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া করে পরিবার নিয়ে থাকেন। টয়োটা অ্যালিয়ন মডেলের একটি গাড়িও আছে তার। সেটার জন্য চালকও রেখেছেন। মূলত প্রাইভেট কারের মাধ্যমে টেকনাফ থেকে ইয়াবা এনে নগরের বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে দেন।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নুরুল হুদা স্বীকার করেছে টেকনাফের কচুবুনিয়া গ্রামের মধ্যমপাড়ার মৃত হাজী আবদুল হকের ছেলে মোহাম্মদ উল্লাহর কাছ থেকে নিয়মিত ইয়াবা নিয়ে এসে নগরের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করেন তিনি। তার বিরুদ্ধে নগরের চান্দগাঁও ও বাকলিয়া থানায় দুটি মামলা রয়েছে।
এদিকে একই সময়ে পৃথক অভিযানে নগরের কর্ণফুলী সেতুর টোলপ্লাজা এলাকায় কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী সৌদিয়া পরিবহনের একটি বাস থেকে ১৪ হাজার পিস ইয়াবাসহ এক যাত্রীকে গ্রেফতার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতার মো. আব্দুল আজিজ কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার রিংভং গ্রামের ছগিরশাহ কাটা এলাকার কলিম উল্লাহর ছেলে।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (উত্তর) কাজল কান্তি চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।