বিসিএস ও ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার জালিয়াতি করার অপরাধে ১০ জন আটক
ই-বার্তা ডেস্ক ।। ব্যাংক ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি করার ঘটনায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলো ৩ জন ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ১০ জন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিবি উত্তর বিভাগের এক বিশেষ অভিযানে তারা গ্রেফতার হয়। ৬ এপ্রিল’১৮ রাজধানীর মিরপুর, নিউমার্কেট ও ফার্মগেট এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ১০ জনের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকের অফিসার পদে কর্মরত ৩ জন হলো মোঃ মনিরুল ইসলাম ওরফে সুমন (পুবালী ব্যাংক), অসীম কুমার দাস (সোনালী ব্যাংক) ও মোঃ সোহেল আকন্দ (বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক)।
অন্যান্য গ্রেফতারকৃতরা হলো মোঃ জহিরুল ইসলাম, সাদ্দাতুর রহমান ওরফ সোহান, মোঃ নাদিমুল ইসলাম, মোঃ এনামুল হক ওরফে শিশির, শেখ তারিকুজ্জামান, অর্নব চক্রবর্তী ও মোঃ আরিফুর রহমান ওরফে শাহিন। এ সময় তাদের হেফাজত হতে ক্ষুদ্র ব্যাটারী ও ইয়ারফোনসহ ১৩ টি বিশেষ ধরনের ডিভাইস উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিবি’র যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মোঃ আব্দুল বাতেন বলেন, জনৈক পুলকেশ দাস ওরফে বাচ্চু এই চক্রের মূল হোতা। সে তার অন্যতম বিশ্বস্ত সহযোগী জনৈক কার্জন এর সহযোগিতায় এই বিশেষ ডিভাইসগুলো সংগ্রহ করে। অন্যান্যরা পরীক্ষার্থী সংগ্রহ ও তাদের সাথে চুক্তি করে। নির্দিষ্ট পরীক্ষার দিনে চুক্তিবদ্ধ পরীক্ষার্থীদের কানে ও বাহুতে বিশেষ কায়দায় এই ইলেকট্রনিক ডিভাইসটি স্থাপন করা হয়। এ কায়দায় পরীক্ষার্থী কেবলমাত্র কল রিসিভ করতে পারে কিন্তু বাহিরে কোন কল করতে পারে না।
এই চক্রের সদস্যরা পরীক্ষার হলের বাহির থেকে এই ডিভাইসে কল করে পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রশ্ন সংগ্রহ করে। প্রশ্ন সংগ্রহের পর চক্রের সদস্যরা দ্রুত উত্তর বের করে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর সাথে থাকা গোপনীয় ডিভাইসের মাধ্যমে সরবরাহ করে। গ্রেফতারকৃতরা ৭ থেকে ৮ বছর যাবৎ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় এ প্রক্রিয়ায় অপরাধ করে পরীক্ষার্থীদের নিকট হতে মোটা অংকের টাকা নেয় বলে জানায়।
তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন জাতীয় পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে সরকার ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপের কারণে প্রতারকচক্র পুরনো পদ্ধতির বদলে এধরণের প্রযুক্তি ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে ওঠে। তবে গ্রেফতার হওয়া এ চক্রের মত বাকিরাও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়বে আশা করা যায়।
ই-বার্তা/ডেস্ক