রমজানে দেশি গরুর মাংস বিক্রি হবে ৫২৫ টাকায়
ই- বার্তা ডেস্ক।। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) প্রথম দিন থেকে ২৬ রোজা পর্যন্ত রাজধানীতে মাংসের দাম বেঁধে দিয়েছে ।
আজ দুপুরে ডিএসসিসির নগর ভবনে মাংস ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ ডিএসসিসি ও ডিএনসিসির কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এ দাম নির্ধারণ করা হয়।
এ সময় প্রতি কেজি দেশি গরুর মাংস ৫২৫ টাকা, বিদেশি গরুর মাংস ৫০০ ও মহিষের মাংস ৪৮০, খাসির মাংস ৭৫০ এবং ভেড়া ও ছাগীর মাংস ৬৫০ টাকা ধরে বিক্রির জন্য দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকন জানিয়েছেন যে, এ দাম না মানলে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে।
মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, আমরা এর আগে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তারা আমাদের জানিয়েছেন দ্রব্যমূল্য গতবছরের তুলনায় এবার কোনোভাবেই বাড়বে না। বরং কিছুটা হলেও কমবে। হোটেল রেস্তোরার মালিকদের সঙ্গেও বৈঠক করেছি। তারাও যাতে খাবার স্থাস্থ্যসম্মত রাখে সে জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মাংসের নতুন দামের ক্ষেত্রে যাতে কোনো অনিয়ম না হয় সেজন্য কাল (৭ মে) থেকে ডিএসসিসির বাজার মনিটরিং টিম মাঠে নামবে। কোনো ব্যবসায়ীর অনিয়মের অভিযোগ ও প্রমাণ পাওয়া গেলেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে ঘন্টা ব্যাপী চলা বৈঠকে মেয়রের কাছে মাংস ব্যবসায়ীরা নানা অভিযোগ তুলে ধরে বলেন, গরুর মাংসের দাম বাড়ার পিছনে অন্যতম কারণ হল গাবতলীর হাটের কতিপয় চাঁদাবাজিদের উৎপাত। তাদের কারণে প্রতি গরু প্রতি ৫ থেকে ১০ হাজার টাকাও খাজনা দিতে হয়। তাদের নিয়ন্ত্রণ করা গেলে মাংসের দাম অনেক কমে যাবে।
মেয়র বলেন, গাবতলীর হাটে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবেই। মাংস ব্যবসায়ীরা গাবতলী হাটের চাঁদাবাজির বিষয়ে যে অভিযোগ করেছেন সেটি ডিএনসিসির সঙ্গে আলাপ করে সমাধান করা হবে।
ই- বার্তা / রেজওয়ানুল ইসলাম