লাইসেন্স থাকলেও অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার করতেন শামীম
ই- বার্তা ডেস্ক।। র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম জানিয়েছেন যে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আটক এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের অস্ত্রের লাইসেন্স থাকলেও অবৈধ ব্যবহারের অভিযোগ ছিল ।
আজ শুক্রবার বিকালে জি কে শামীমের রাজধানীর নিকেতনে ৫ নম্বর সড়কের ১৪৪ নম্বর ভবনে অভিযান পরিচালনা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়েছে। এখানে তার মায়ের ও তার নামে বিপুল পরিমাণ এফডিআর পাওয়া গেছে। তার অস্ত্রের লাইসেন্স থাকলেও অবৈধ ব্যবহারের অভিযোগ ছিল।
তিনি আরও বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কোনো সুনির্দিষ্টি অভিযোগ ছাড়া অভিযান পরিচালনা করে না। এখন আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্দোষ প্রমাণিত হলে তিনি ছাড়া পাবেন।
এর আগে, শুক্রবার দুপুর ২ টার দিকে রাজধানীর নিকেতন থেকে সাত দেহরক্ষীসহ যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে আটক করে র্যাব।
র্যাবের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, অভিযানে শামীমের কার্যালয় থেকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ নগদ ১ কোটি ৮০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৬৫ কোটি ৮০ লাখ টাকার এফডিআর (ফিক্সড ডিপোজিট রিসিপ্ট) জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে তার মায়ের নামে ১৪০ কোটি টাকা ও ২৫ কোটি টাকা তার নামে।এছাড়াও ৭টি শর্টগান, বিদেশি মূদ্রা ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।
এ সময় শামীম সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আল্লাহর ওয়াস্তে ছবি তুইলেন না, আমাকে বেইজ্জতি কইরেন না। আমার একটা সম্মান আছে। এখানে যা হচ্ছে, আপনারা দেখছেন। কিন্তু আমাকেও আত্মপক্ষ সমর্থন করতে দিতে হবে।’
তার এ কথা শুনে র্যাবের এক কর্মকর্তা শামীমকে বলেন, ‘আপনি আমাদের সহযোগিতা করেন। আমাদের সহযোগিতার জন্য ও অভিযানের সচ্ছতার জন্য মিডিয়া আমাদের সহযোগিতা করছে।’
এর আগে বুধবার অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে র্যাবের হাতে আটক হয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। গুঞ্জন চলছিল বৃহস্পতিবার রাতেই যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায়বিষয়ক সম্পাদক জিকে শামীমকে আটক হবেন।