শ্বেতাঙ্গ উগ্রবাদীকে শটগান দিয়েই রুখে দিলেন যেভাবে
ই-বার্তা ডেস্ক ।। ক্রাইস্টচার্চে মসজিদের বাইরে শ্বেতাঙ্গ জঙ্গিকে অস্ত্র নিয়ে আস্ফালন করতে দেখে আফগান শরণার্থী আবদুল আজিজ তাকে তাড়া দেন। তখন তার হাতে ছিল কেবল একটি ক্রেডিট কার্ড মেশিন।
ভারী অস্ত্রসমৃদ্ধ ওই জঙ্গিকে কেবল এই ক্রেডিট কার্ড মেশিন দিয়েই তাড়িয়ে দিয়েছেন এ আফগান।-খবর এএফপির
লিনউড মসজিদে উগ্রবাদী এক অস্ট্রেলীয় যুবকের হামলায় সাতজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার জুমার নামাজ চলছিল, মুসল্লিরা তখন রুকুতে গিয়েছিলেন। তখনই এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে তাদের হত্যা করা হয়।
আজিজ যদি বিরোচিত ভূমিকা না রাখতেন, তবে আল নূর মসজিদের মতো এখানেও নিহতের সংখ্যা বেড়ে যেতে পারত। আল নূর মসজিদে ৪৩ মুসল্লিকে হত্যা করা হয়েছে।
তার দুঃসাহসিক ভূমিকা ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। স্থানীয়রা তাকে হিরো উপাধি দিলে তা উড়িয়ে দেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, এমন সময় আপনিও ভাবার কোনো সময় পাবেন না। যাই ভাবেন না কেন, আপনি এমনটিই করতেন।
মসজিদটিতে আজিজ ও তার চার সন্তান নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন। প্রথমে তারা গুলির বিকট শব্দ শুনতে পান। তারা ভেবেছিলেন, পটকাবাজি টাইপের কিছু হবে। কিছুটা সন্দেহ তৈরি হলে আবদুল আজিজ মসজিদ থেকে দৌড়ে বাইরে চলে আসেন। সঙ্গে একটি ক্রেডিট কার্ড মেশিন নিয়ে বের হন।
বাইরে এসে সামরিক পোশাকে একজন সশস্ত্র লোক দেখে বিস্মিত হয়ে পড়েন। প্রথমে আমি জানতাম না, তিনি ভালো কিংবা খারাপ লোক। কিন্তু হামলাকারী যখন শপথবাক্য পড়ছিলেন, তখন জানলাম- তিনি কোনো ভালো লোক হতে পারে না।
আজিজ টেরেন্টর দিকে ক্রেডিট কার্ড মেশিন ছুড়ে মারেন। এর পর আত্মস্বীকৃত ফ্যাসিস্ট যখন বৃষ্টির মতো গুলি ছুড়তে থাকেন, তখন তিনি গাড়ির ভেতরে আশ্রয় নেন।
এ আফগান শরণার্থী বলেন, যখন তিনি আমার হাতে একটি অস্ত্র দেখতে পান, আমি জানি না কী ঘটেছিল, তিনি অস্ত্র ফেলে দেন। এর পর আমার বন্দুক দিয়ে তাকে ধাওয়া করি। বন্দুকটি তার গাড়িতে ছুড়ে সেটির কাঁচ ভেঙে দিই। দেখলাম- তিনি খুবই ভয় পেয়ে গেছেন।
আবদুল আজিজও তিন দশক অস্ট্রেলিয়ায় বাস করেছেন। কয়েক বছর আগে তিনি ক্রাইস্টচার্চে আসেন।
ই-বার্তা / শাহাদাত ছৈয়াল