‘১৫ হাজার মুক্তিযোদ্ধার বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হবে’
ই- বার্তা ডেস্ক।। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক মন্তব্য করেছেন যে, দেশের কৃতি সন্তান বীরমুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসনের জন্য ‘ভূমিহীন ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাসস্থান নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ে সারা দেশে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ২৯৬২টি বাসস্থান নির্মাণ ও বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অসহায় এবং আর্থিকভাবে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন সুবিধা দিতে দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও প্রায় ১৫ হাজার বাসস্থান নির্মাণে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
আজ সোমবার বেলা ১১টায় মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিষয়ে আলোচনাকালে এসব কথা বলেন তিনি।
বাসস্থানের ডিজাইন সম্পন্ন করা হয়েছে এবং তা চূড়ান্ত অনুমোদন পর্যায়ে রয়েছে। আগামী ২০২০ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উপহার হিসেবে এসব বাড়ি প্রদান করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
এসময় মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য চিকিৎসা সুবিধার জন্য জেলা প্রশাসকের অধীনে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ প্রদান সংক্রান্ত মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলামের প্রস্তাবে বলেন, দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত মুক্তিযোদ্ধাদের তাৎক্ষণিক বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষ্যে সব উপজেলা সরকারি হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, সরকারি মেডিকেল কলেজ ও বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোতে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত মুক্তিযোদ্ধারা বিশেষায়িত হাসপাতালগুলো থেকেও চিকিৎসাসেবা নিতে পারেন।
মন্ত্রী আরও জানান, ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্থাপনাগুলো সংরক্ষণ ও পুনঃনির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় পূর্বে নির্মাণ করা মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ৩৪২টি স্থাপনা সংরক্ষণ ও পুনঃনির্মাণ করা হবে। ইতিমধ্যে চলতি বছরের জুনে ২২০টি স্মৃতি স্থাপনা সংরক্ষণ ও পুনঃনির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে, ৪০টি স্মৃতি স্থাপনার কাজ চলমান রয়েছে, ১০টির দরপত্র কার্যক্রম চলমান আছে, দ্বৈততা-স্থান সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ৭৬টি স্কিমের মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না। চলমান প্রকল্প দুইটির বাইরেও যদি কোনো মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক স্মৃতিস্থাপনা থেকে থাকে তাহলে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পাওয়া গেলে পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে তা সংরক্ষণ ও মেরামত করা হবে।