১ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পোড়ানো হয়েছে খসোগির দেহ
ই-বার্তা ডেস্ক।। হত্যার পর বড় আকারের একটি ওভেন পোড়ানো হয় সাংবাদিক জামাল খাসোগির টুকরো টুকরো দেহ। তিন দিন ধরে পুড়িয়ে গলিয়ে ফেলা হয় তার শরীর। ইস্তাম্বুলে সৌদি কনসাল জেনারেলের বাসভবনে বিশেষভাবে প্রস্তুত করা হয় ওভেনটি।
ওভেনটির তাপমাত্রা ছিল ১ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ তাপমাত্রা যে কোনো কঠিন ধাতুও গলিয়ে ফেলার জন্য যথেষ্ট। ওভেনটি ব্যবহার করা হয়েছিল হাড়-মাংসসহ খাসোগিকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলার জন্য। আলজাজিরার এক অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আলজাজিরার অনুসন্ধানে বলা হয়েছে, সৌদি কনসুলেটের ভেতরে খাসোগিকে হত্যার পর তার মরদেহ টুকরো টুকরো করা হয়। পরে কয়েকটি ব্যাগে ভরে কয়েক শ মিটার দূরে অবস্থিত কনসুলেট জেনারেলের বাসভবনে নিয়ে তার মরদেহ পোড়ানো হয়। তুর্কি কর্মকর্তাদের তদন্তে পুরো বিষয়টি উঠে এসেছে।
খাসোগির মরদেহ পোড়ানোর জন্য চুল্লি নির্মাণকাজে জড়িত তুরস্কের এক শ্রমিকের সাক্ষাৎকার নিয়েছে আলজাজিরা। তিনি বলেছেন, ‘সৌদি কনসাল থেকে দিকনির্দেশনা পাওয়ার পর এ চুল্লি নির্মাণ করা হয়। তাকে বলা হয়েছিল, এ চুল্লি হবে অনেক গভীর, তাপমাত্রা হবে এক হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে, যাতে যে কোনো ধরনের ধাতব পদার্থও গলে যায়।’
শরীরের কোনো অংশ যাতে অবশিষ্ট না থাকে, সেজন্য হত্যাকাণ্ডের পর খাসোগির মরদেহের টুকরো ওভেনে সিদ্ধ করা হয়েছিল। সৌদি কনসালের দফতরের দেয়ালে খাসোগির রক্তের সন্ধান পেয়েছেন তুর্কি তদন্তকারীরা।
এর আগে সাংবাদিক খাসোগি তার তুর্কি বংশোদ্ভূত বান্ধবীকে বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে ২ অক্টোবর সৌদি কনসুলেটে যান।কনসুলেটে প্রবেশের পর সৌদির এই সাংবাদিকের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। শুরুর দিকে সৌদি আরব জানায়, কনসুলেট থেকে কাগজপত্র সংগ্রহের পর বেরিয়ে গেছেন তিনি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে বৈশ্বিক চাপ ও সমালোচনার মুখে কনসুলেটের ভেতরে জামাল খাসোগি খুন হয়েছেন বলে স্বীকার করে সৌদি আরব।
ই-বার্তা/মোঃ সালাউদ্দিন সাজু