ভোটে অনিয়মের তথ্য অনুসন্ধানে বিএনপি প্রার্থীরা
ই-বার্তা ডেস্ক।। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী থেকে অংশ নেওয়া বিএনপির প্রার্থীরা ভোটে ‘অনিয়মের’ তথ্য সংগ্রহ করা শুরু করেছেন। তারা দলের নেতা-কর্মী ও পোলিং এজেন্টদের মাধ্যমে তথ্য ও চিত্র সংগ্রহ করছেন। এ ছাড়া তথ্য পেতে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারদের সঙ্গেও যোগাযোগ করছেন।
রাজশাহীর ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে বিএনপি প্রার্থীরা ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরা হলেন, রাজশাহী-১ আসনে ব্যারিস্টার আমিনুল হক, রাজশাহী-২ মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী-৩ শফিকুল হক মিলন, রাজশাহী-৪ আবু হেনা ও রাজশাহী-৫ আসনে অধ্যাপক নজরুল ইসলাম ম-ল। রাজশাহী-৬ আসনে বিএনপির কোনো প্রার্থী দেননি।
রাজশাহী জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন বলেন, ‘পাঁচটি আসনে ভোটে অনিয়মের তথ্য সংগ্রহ করছেন প্রার্থীসহ বিএনপি নেতা-কর্মীরা। অডিও, ভিডিও ও স্থিরচিত্রের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। সেগুলো প্রতিবেদন আকারে কেন্দ্রে জমা দেওয়া হবে। এ ছাড়াও তথ্য সংগ্রহের পর ভোট কেন্দ্র অনুযায়ী আলাদা আলাদা মামলা করা হবে নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে।’
রাজশাহী-৩ আসনে ভোটে ‘অনিয়মের’ প্রতিবেদন প্রায় চূড়ান্ত। এ আসনের বিএনপি প্রার্থী শফিকুল হক মিলন বলেন, ‘মেরাজুলের ভাই হুমায়ন আওয়ামী লীগের কর্মী হলেও নিহত মেরাজুল বিএনপির সমর্থক। সে ধানের শীষের প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন। যার তথ্য প্রমাণ আমাদের হাতে এসেছে’।
আরও জানা গেছে, ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্রার্থীদের নিজের ও পরিবারের অবরুদ্ধ হয়ে পড়া কিংবা হামলায় আহত, সহায় সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তথ্য ও ছবি, নিজ নিজ এলাকার অনিয়ম, ভোট জালিয়াতি, সহিংসতা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের তান্ডব এবং সন্ত্রাসের একটি চিত্র প্রতিবেদন চাওয়া হয়। সে অনুযায়ী প্রতিবেদন জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল ১০ জানুয়ারি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনো প্রার্থী তাদের নিজ নিজ প্রতিবেদন জমা দিতে পারেননি।
ই-বার্তা/ মোঃ সালাউদ্দিন সাজু
