‘অন্ধ ও প্যারালাইজড হয়ে যেতে পারেন খালেদা’
ই-বার্তা ।। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সংক্রান্ত ফাইল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরে পড়ে আছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আমরা বারবার বলছি খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। আমাদের দলের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল ২২ এপ্রিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে খালেদার জিয়ার পছন্দের হাসপাতাল ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছেন। এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আইজি প্রিজনকে ডেকে নিয়ে আসেন এবং খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বলেন। পরে কারা কর্তৃপক্ষ চিকিৎসদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয় আলাপ করে একটি ফাইল তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠিয়েছে বলে আমরা শুনেছি। ফাইলটি এখনও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়েই পড়ে আছে।’
শনিবার (২৮ এপ্রিল) নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকারের মূল লক্ষ্য খালেদা জিয়াকে অসুস্থ রেখে তাকে নির্বাচন থেকে বাইরে রাখা। তার চিকিৎসা না করার পেছনে একটি নীলনকশা রয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. ওয়াহিদুর রহমান বলেন, ‘তার (খালেদা) হাড় ক্ষয় হয়ে নার্ভগুলো চাপা পড়ে গেছে। এতে বাম হাতের শক্তি কমে যাচ্ছে। তিনি বাম হাতে কিছুই ধরে রাখতে পারছেন না। প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছে। কোমরের হাড়ও ক্ষয়ে যাচ্ছে। স্পাইনাল কর্ডেও সমস্যা আছে। এ অবস্থায় তার শরীরের অবস্থা আরো খারাপ হয়ে প্যারালাইজড হয়ে যেতে পারে।’
চক্ষু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. কুদ্দুস বলেন, ‘২০১৫ ও ২০১৭ সালে তার (খালেদা) চোখে অপারেশন করা হয়। তার চোখের পানি শুকিয়ে যাওয়ারও সমস্যা আছে। আমরা শুনেছি খালেদা জিয়ার চোখ লাল হয়ে গেছে এবং প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছে। যদি তার সুচিকিৎসা করানো না হয় চোখের কর্নিয়া নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তিনি (খালেদা) অন্ধ হয়ে যেতে পারেন।’
এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মির্জা আব্বাস, সিনিয়র যুগ্ম মহা সচিব রুহুল কবির রিজভী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মিন্টু, সামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক, আদ্দুস সালাম প্রমুখ।