অবেশষে সিদ্দিক-মিমের বিবাহ বিচ্ছেদ
ই-বার্তা ডেস্ক।। অবেশষে অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানকে ডিভোর্স দিলেন মডেল ও অভিনেত্রী মারিয়া মিম। দুজনের সিদ্ধান্তেই বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে বলে জানিয়েছেন মিম।
গত শনিবার ডিভোর্স পেপারে স্বাক্ষর করেন মিম। বেশ কিছুদিন ধরেই ছোটপর্দার অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ তুলেছেন তার স্ত্রী মিম। পরিবারের সম্মতি নিয়ে ভালোবেসেই ঘর বেঁধেছিলেন দুজন। আট বছরের সংসারে তাদের একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। মিম বলেন সিদ্দিকের পরনারীতে আসক্তির ছিলো এবং বিভিন্ন সময় নির্যাতন করতেন।
মিম বলেন, স্বামী হিসেবে সিদ্দিককে ব্যর্থ দাবি করে তার জীবন থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্দিককে ডিভোর্স লেটার পাঠাই। সোমবার নিজের ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাসে সিদ্দিকের সঙ্গে সংসারের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানান মিম। সেখানে তিনি লিখেছেন, আজ আমি একজন মেয়ে বলেই আমাকে সবকিছু মেনে নিতে হবে। মেনে নিতে হবে সব অত্যাচার, সহ্য করতে হবে সব মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন। শুনতে হবে সব মিথ্যা অপবাদ। রাতের পর রাত, দিনের পর দিন সবকিছু সহ্য করেছি এবং একা একা কেঁদেছি।
অনেক আগেই চেয়েছিলাম সম্পর্কটা শেষ করে দেই, তখনই বাধা দেয়া হয়েছে কারণ তুমি একজন নারী। তোমার সবকিছু অ্যাডজাস্ট এবং স্যাক্রিফাইস করতে হবে। একটা মেয়ে তার সবকিছু ছেড়ে দিয়ে একটা নতুন মানুষের সাথে ঘর বাঁধে, স্বপ্ন দেখে সারাজীবন একসাথে থাকবে, স্বপ্ন দেখে সুন্দর একটা সংসার। কিন্তু সেই মানুষটা যখন বদলে যায় এবং ভুলে যায় স্ত্রীর প্রতি সমস্ত দায়িত্ববোধ এবং কর্তব্যবোধ তখন হতাশা আসে। কীভাবে একজন স্ত্রী মেনে নিতে পারে তার স্বামীর সাথে অন্য মেয়ের সম্পর্ক, কীভাবে মেনে নিতে পারে রাতের পর রাত স্বামীর বাসায় না ফেরা। কারণ সে একজন নারী এবং নারী বলেই সবকিছু চোখ বন্ধ করে সহ্য করতে হবে। কিন্তু আর কত সহ্য করব, আর কতবার নির্যাতনের শিকার হব। তাই সবকিছুর পরে অনেক চিন্তাভাবনা করে আমি ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেই।
কারণ আমিও মানুষ, আমারও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার অধিকার আছে। অবশেষে বাধ্য হয়ে বিবাহ বিচ্ছেদের কাগজে স্বাক্ষর করে জমা দিয়েছি। একটা দীর্ঘদিনের বেদনা, কান্না এবং চাপা কষ্ট সবকিছু নিয়ে সিদ্দিকুর রহমানের সাথে আমি আমার সম্পর্ক ছিন্ন করেছি।২০১২ সালের ২৪ মে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত স্পেনের নাগরিক মারিয়া মিমকে বিয়ে করেন সিদ্দিক। ২০১৩ সালের ২৫ জুন তারা পুত্রসন্তানের বাবা-মা হন।