অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের গতিতে ভয় নেই বাংলাদেশের
ই-বার্তা ডেস্ক।। সাকিব আল হাসানের কাছে ‘মাইন্ড সেট’ মহাগুরুত্বপূর্ণ। সামর্থ্য যদি সাফল্যের গাড়ি হয়, তবে মনের জোর অবশ্যই জ্বালানি। টন্টন থেকে নটিংহাম মনভর্তি জ্বালানি নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। টার্গেট অস্ট্রেলিয়া।
এত দিন মিচেল স্টার্ক ভীতিকর ছিলেন। প্যাট কামিন্স, নাথান কুল্টারনাইলের গতি নিয়েও চাপা আতঙ্ক ছিল বাংলাদেশ দলে। কিন্তু বিশ্বকাপের মাঝপথে এসে সেই ভয় কোথায় যেন উবে গেছে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মন থেকে। বাউন্সারের জবাবে পুল শট নিয়ে তৈরি তারা।
বরং সাকিব আল হাসান আর অস্ট্রেলিয়ার অফস্পিনার নাথান লায়নকে নিয়েই বেশি গবেষণা চলছে দলে। উদ্বেগটাই যে গবেষণার প্রাপ্ত ফল। সাকিবকে ঘিরে উদ্বেগ তাঁর বোলিং নিয়ে। এটা আর গোপন কিছু নয় যে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের বিরুদ্ধে বোলিং খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্য নন সাকিব। বিপিএল, আইপিএল এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মাঠে ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের পেলেই বেশি আক্রমণাত্মক দেখায় তাঁকে।
বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের সামনে রক্ষণাত্মক বোলিং করেন তিনি। সেটা করেও সাফল্য মেলে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই তো সাকিবের দুই শিকারই বাঁহাতি। তবে সেই প্রাপ্তিতে ব্যাটসম্যানের ভুলও আছে। ডানহাতি ব্যাটসম্যানের বেলায় প্রতিপক্ষের ভুল নয়, নিজের সামর্থ্যের ওপরই আস্থা রাখেন সাকিব। এদিকে অস্ট্রেলিয়া দলের ব্যাটিং লাইন-আপের যে নামগুলো বিশ্বকাপের আসরে উজ্জ্বলতম, সেগুলোর চারটি বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের। ডেভিড ওয়ার্নার, উসমান খাজা, শন মার্শ ও উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স ক্যারি। অ্যারন ফিঞ্চ কিংবা স্টিভেন স্মিথের বেলায় ঝুঁকি নেই। তবে ওয়ার্নার-খাজারা উইকেটে থেকে গেলে সাকিবের বোলিং নিয়ে গভীর ভাবনায় পড়তে হবে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে।
এদিকে বাংলাদেশের টপ অর্ডারের তিনজনই আবার বাঁহাতি। পরশু রাতে বাংলাদেশ দলের কম্পিউটার অ্যানালিস্ট শ্রীনিবাস নিশ্চিত ধারণা থেকেই বলছিলেন, ‘ওরা (অস্ট্রেলিয়া) মনে হয় (অ্যাডাম) জাম্পাকে বসিয়ে আমাদের সঙ্গে লায়নকে খেলাবে।’
অ্যাডাম জাম্পা এমন কোনো আহামরি লেগস্পিনার নন। আর বাঁহাতি ব্যাটসম্যান সামান্য কিছু সুবিধাও পেয়ে থাকেন লেগির বিপক্ষে। তারচেয়ে অভিজ্ঞ নাথান লায়নের অফস্পিন বেশি কার্যকর হওয়ার কথা বাংলাদেশের বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে। তবে জাম্পা কিংবা লায়ন নয়, অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ দলের মূল চিন্তা ওয়ার্নার ও স্মিথ। টিকে গেলে একাই ম্যাচ বের করে নিতে জানেন এঁরা।
ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু