আমি একজন মুসলিম এবং আমার বিশ্বাস পাক্কাঃ নুসরাত
ই-বার্তা ডেস্ক।। হিন্দু রীতিতে নিখিল জৈনকে বিয়ে করার পর থেকেই বিভিন্ন মহলে সমালোচিত হয়েছেন টালিউড অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। ইস্তাম্বুলে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে কলকাতায় এসে একের পর বির্তকিত কর্ম-কাণ্ড করেই যাচ্ছেন তিনি।
এর পর সিঁদুর লাগিয়ে, মঙ্গলসূত্র পরে ভারতের পার্লামেন্টে গিয়ে সমালোচনার আগুনে ঘি ঢালেন নুসরাত।
তাতেও থামেননি তিনি। দলীয় সভানেত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে ইস্কনের রথের রশি টানার হ্দিু ধর্মীয় রীতি পালন করেন বসিরহাটের সাংসদ নুসরাত। নুসরাতের এমন সব কর্ম-কাণ্ড ইসলাম ধর্মে অগ্রহণযোগ্য বলে ফতোয়া জারি করেন দেওবন্দের ইমাম।
সব সমালোচনা ও দেওবন্দী ইমামের ফতোয়াকে পাত্তা না দিয়ে নুসরাত জবাব দেন, ‘আমি এক জন মুসলিমই থাকব এবং আমি কী পরব তা নিয়ে কারও কথা বলার অধিকার নেই। বিশ্বাস সব কিছুর ঊর্ধ্বে।’
ইমাম বলেন, ‘আর কোনোভাবেই মুসলমানের খাতায় নাম রইল না নুসরাত জাহানের। সে একজন জৈন ধর্মাবলম্বীকে বিয়ে করেছে এবং মাথায় সিঁদূর পরেছে, রথযাত্রায় অংশ নিয়েছে। আর এ সবই হিন্দু মতের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
দেওবন্দী ইমামকে যেভাবে জবা দিয়েছিলেন, সেই একইরকম জবাব এলো নুসরাতের কাছ থেকে এবারও।
সম্প্রতি ভারতের জনপ্রিয় টিভি অনুষ্ঠান আপ কি আদালতে নুসরাতকে আলেমের এমন মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে নুসরাত বলেন, ‘আমার ধর্ম এবং বিশ্বাস (ঈমান) কেড়ে নেওয়ার অধিকার কারো নেই।’
নুসরাত বলেন, ‘আমার সঙ্গে আল্লাহর সরাসরি টেলিফোনে কোনো যোগাযোগ নেই, তাই আমি মনে করি অন্যদেরও প্রত্যক্ষ কোনো যোগাযোগ (আল্লাহর সঙ্গে) নেই। ধর্ম হলো বিশ্বাসের ব্যাপার আর আমার বিশ্বাস পাক্কা। সিঁদুর এবং মঙ্গলসূত্র পরে আমি আমার বিশ্বাস হারাইনি।’
ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু