আমেরিকা র্যাবের ট্রেনিং দেয়, তারাই অস্ত্র দেয়ঃ প্রধানমন্ত্রী
ই-বার্তা ডেস্ক ।। র্যাব সৃষ্টি করেছে কে- এমন প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমেরিকা র্যাবের ট্রেনিং দেয়, তারাই অস্ত্র দেয়। যেমন ট্রেনিং দিয়েছে তারা (র্যাব) তেমন করেছে। আমাদের করার কী আছে?
তিনি বলেন, যাদের দিয়ে সন্ত্রাস দমন করেছি তাদের ওপরই কেন স্যাংশন? স্যাংশন দিয়ে কার ক্ষতি হচ্ছে? সাধারণ মানুষের ক্ষতি হচ্ছে। কথায় কথায় স্যাংশন- এটা কেমন কথা?
র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। সদ্য সমাপ্ত যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই প্রশ্ন করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা থেকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এই সংবাদ সম্মেলন চলছে। এতে লিখিত বক্তব্যের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার এ সংবাদ সম্মেলন সরাসরি সম্প্রচার করছে। আমেরিকা নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করে না বলে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ৪০ বছর তালেবানের সাথে যুদ্ধ করে আবার তাদের কাছেই ক্ষমতা দিয়ে চলে গেল আমেরিকা। নিজের ব্যর্থতার কথা তারা বলে না। কেউ যদি অপরাধ করলে তার বিচার হয় আমাদের দেশে। কিন্তু আমেরিকায় বিচার হয় না।
মুক্তিযুদ্ধের যারা বিরোধিতা করেছে তারা স্বাধীনতার পর অনেকদিন ক্ষমতায় ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার দেশেরই কিছু লোক তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) কাছে বানোয়াট তথ্য দেয়। দেশের বদনাম করে। যারা এটা করে তারা কোনো না কোনো অপরাধ করে দেশ ছেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তবে সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়- আমরা এই নীতিতে চলতে চাই। এর আগে মিয়ানমার সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে বাংলাদেশ থেকে এখনো রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন সম্ভব হয়নি বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করার জন্য জাতিসংঘকে কার্যকর ও জোরাল ভূমিকা রাখার জন্য আহ্বান জানিয়েছি।
যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষ করে প্রধানমন্ত্রী গত ৩ অক্টোবর (সোমবার) রাতে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে দেশে ফেরেন। এর আগে যুক্তরাজ্যে রাষ্ট্রীয় সফরে ১৫ সেপ্টেম্বর লন্ডন যান। সেখানে তিনি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ও রাজা তৃতীয় চার্লস কর্তৃক আয়োজিত অভ্যর্থনায় যোগ দেন। ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি লন্ডন থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে রওনা হন। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে তিনি ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দেন। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি।