আ,লীগের মেয়র প্রার্থী মনোনায়নের ভুল সিদ্ধান্তের খেসারত দিতে হতে পারে পটুয়াখালী পৌরসভায়
ই-বার্তা ডেস্ক ।। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালী পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ২০১১ সালের ১৩ জানুয়ারি সর্বশেষ পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে ২০১৬ সালে মেয়াদপূর্তি হলেও সীমানা জটিলতা সংক্রান্ত মামলায় আটকে যায় নির্বাচন।
গত ২২ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন পটুয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুসারে ৩১ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। ৩ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র বাছাই এবং ১০ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন পরে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় প্রার্থী ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে বাড়তি উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে মেয়র পদে ৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন এবং নির্বাচন প্রতিধন্ধিতা পূর্ন হবে বলে আশা করছেন সাধারণ ভোটাররা। পটুয়াখালী জেলা নির্বাচন অফিস থেকে জানাজায়, এ পর্যন্ত মেয়র পদে ৭ সাতজন প্রার্থী মনোনায়ন পত্র জমা দিয়েছেন। এরা হলেন- আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) কাজী আলমগীর হোসেন। এছাড়াও পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পটুয়াখালী জেলার স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ ও ডাক্তারদের সংগঠন বি এম এর সাধারন সম্পাদক ও বিশিস্ট চিকিৎসক ও বর্তমান মেয়র ডা. মো: শফিকুল ইসলাম, পটুয়াখালী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মহিউদ্দিন আহম্মেদ, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান রনি, পৌরসভার সাবেক মেয়র মোস্তাক আহমেদ পিনু ও ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান। পটুয়াখালীর সাধারন ভোটারদের সাথে কথা বলে জানাজায় টানা তৃতীয় বারেরমত এবং ৪ বারেরমত সরকার গঠন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। পটুয়াখালী জেলার উন্নয়নে এই সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প চলমান। কিন্তু পটুয়াখালীর মত পুরানো জেলার পৌরসভায় আওয়ামীলীগের প্রার্থী মনোনায়নের সিদ্ধান্তে হতাশ পৌরবাসি।জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক কাজী আলমগীর কে প্রার্থী করায় সর্বত্র চলছে আলোচনার ঝড়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ছিলেন পটুয়াখালী-৪ ( গলাচিপা, দশমিনা)এর মনোনায়ন প্রত্যাশি, তার মত একজন মানুষকে পটুয়াখালী পৌরসভায় মনোনায়ন দেওয়া কোন ভাবেই সাধারন ভোটারা মেনে নিতে পারছে না। অনেকের মতে দলের সাংগঠনিক দক্ষতা আর জনগনের প্রতিনিধিত্ব করা এক নয়।২৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে খেসারত দিতে হতে পারে আওয়ামী লীগকে। সাধারন ভোটারদের কাছে বর্তমান মেয়র ডা. মো: শফিকুল ইসলামের বিষয় অনেক উৎসাহ দেখা যায়। তাদের কথায় এটাই বারবার মনে হয়েছে।তাদের কাছে ডা. শফিক একজন মানবতার ফেরিওয়ালার নাম। পটুয়াখালী পৌরসভায় এবার মোট ভোটার সংখ্যা ৪৫ হাজার ১৭৭ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২৩ হাজার ৩২৬ জন এবং পুরুষ ভোটার ২১ হাজার ৮৫১ জন। ২০১১ সালের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৩৫২০০ জন।
এবারে নতুন ভোটারের সংখ্যা ৯৯৭৭ জন।পটুয়াখালী পৌরসভায় চলছে এখন ভোটের হাওয়া , চায়ের দোকান হতে অফিসে সব খানেই আলোচনার ঝড় কে হবে আগামীর পৌরপিতা।দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি।
ই-বার্তা / তামান্না আলী প্রিয়া