আলেমদের খেদমতে নিজেকে উজাড় করে দিবোঃ ধর্মমন্ত্রী
ই-বার্তা ডেস্ক ।। একজন ধর্ম সম্পর্কে মুর্খ ব্যক্তিকে ধর্ম মন্ত্রণালায়ের মত গুরুত্বপুর্ণ দায়িত্বে বসিয়ে ছিল। যার দ্বারা ইসলামের কোন তেমন উল্লেখযোগ্য কাজ আদায় করা সম্ভব ছিলো না।
ধন্যবাদ জানাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। চারদলীয় জোট সরকার যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন জোট সরকারের একজন আলেম এম পি সাহেবের বাসায় কোন একটা কাজে গিয়ে ছিলাম। উনি আমাদের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন, চারদলীয় জোট সরকার এমন একজন লোককে ধর্ম মন্ত্রীর দায়িত্বে বসিয়েছে, যার ধর্মের কোন জ্ঞান নেই।
এরপর যতবারই ধর্মমন্ত্রী যেই হয়েছেন, অতীব দুঃখের বিষয়, ইসলামী শিক্ষায় সুশিক্ষিত নন। কিন্তু এবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটা চমক দেখালেন। একজন হাফেজে কোরআনকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিলেন।
শেখ আব্দুল্লাহ সাহেব আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক। তিনি এদেশের প্রাচীণতম দ্বীনি প্রতিষ্ঠান, আল্লামা শামসুল হক ফরিদপুরী( রহঃ) এর প্রতিষ্ঠিত গওহর ডাঙ্গা মাদ্রাসায় হেফজ শাখায় পড়াশুনা করে অত্যান্ত কৃতিত্বের সমাপ্ত করে ছিলেন।
শেখ আব্দুল্লাহ সাহেবের আলেম সমাজের সাথে তাঁর বেশী উঠা বসা। তিনি রাজনৈতিক ভাবে আওয়ামী লীগ সংগঠনের সাথে জড়িত থাকলেও আলেম উলামাদের সাথে গভীর সম্পর্ক।
সর্ব প্রথম শেখ আব্দুল্লাহ সাহেবের ভাষন শুনে ছিলাম, হাটহাজারী মাদ্রাসার উলামা সন্মেলনে। সেখানে হাজার হাজার আলেমদের সামনে অত্যান্ত জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করেছিলেন। সেদিন তাঁর কথায় বুঝে ছিলাম, লোকটা শুধু জেনারেল শিক্ষিত নয়, বরং এ্যারাবিক লাইনে তাঁর যথেষ্ট দখল রয়েছে।
কওমী মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতির পিছনের জনাব শেখ আব্দুল্লাহ সাহেবের বড় অবদান রয়েছে। সনদের স্বীকৃতি আদায়ের জন্য আলেম উলামাদের আন্তরিক সহযোগীতা করেছেন।
প্রসঙ্গত, ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে আলেম উলামার যে শোকরানা মাহফিল হলো তাতেও অগ্রণী ভূমিকায় ছিলেন নতুন ধর্মমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ। নিজে কওমী মাদরাসাকে ভালোবাসেন।
আলেম উলামার ডাকে সাড়া দেন। তিনি ঘোষণাও দিয়েছেন আলেমদের জন্য কাজ করবেন। দেশের আলেম সমাজ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। তিনি সফল হবেন বলেও আশা করেন আলেমগণ।
এবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলে আলেমদের খেদমতে নিজেকে উজাড় করে দিবো। অত্যান্ত হৃদয় গ্রাহী কথা তাঁর। আলেমদের ব্যাপারে তিনি অনেক উদার সেটা প্রমাণ করে তাঁর কথায়।
ই-বার্তা / তামান্না আলী প্রিয়া