আশুলিয়ায় শ্রমিক বিক্ষোভ
ই-বার্তা।। শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। মঙ্গলবার সকালে জামগড়া এলাকার ব্রুকহিল মার্কেটের সামনের বাঁধন কর্পোরেশন লিমিটেড নামে কারখানার কয়েক শতাধিক শ্রমিক এ বিক্ষোভে অংশ নেন।
বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভরত শ্রমিকদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন স্বাধীন বাংলা গার্মেন্টস কর্মচারী ফেডারেশনের আশুলিয়া থানা কমিটির সভাপতি আল কামারান, শ্রমিক সহায়তা ফাউন্ডেশনের আশুলিয়া থানা কমিটির সভাপতি সরোয়ার হোসেন ও বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাভার অঞ্চলের সভাপতি তুহিন চৌধুরীসহ অনেক স্থানীয় শ্রমিক নেতা। বাঁধন কর্পোরেশন নামে ওই কারখানাটি গত দুই মাস ধরে শ্রমিকদের বেতনভাতা প্রদান না করেই মঙ্গলবার সকালে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে প্রধান ফটকে নোটিশ ঝুলিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে শ্রমিক নেতা সারোয়ার হোসেন বলেন, কারখানার মালিকপক্ষ ব্যবসায় লোকসান হলে তার প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করতে পারেন। কিন্তু শ্রমিকদের বকেয়া বেতনভাতা শ্রম আইন মোতাবেক প্রদান করলে এখানে শ্রমিকদের কোনো দাবি থাকে না। বাঁধন কর্পোরেশ লিমিটেড কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের বকেয়া বেতনভাতা প্রদান করেনি। গত দুই মাস ধরে শ্রমিকদের বকেয়া বেতনভাতা না দিয়ে কালক্ষেপণ করছে। মঙ্গলবার সকালে কারখানার প্রধান ফটকে বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করেছে। শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য পাওনার জন্য বিভিন্ন সময় কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানালে মালিকপক্ষ স্থানীয় মাস্তানদের দিয়ে ভয় দেখিয়ে আসছে।
এদিকে শ্রমিক নেতারা বাঁধন কর্পোরেশন লিমিটেড কারখানার মালিককে হুশিয়ার করেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ না করলে কঠিন থেকে কঠিনতম আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে। কারখানার জিএম আক্তার হোসেন জানান, ৩০ জুলাই শ্রমিকদের বেতন দেয়ার কথা ছিল। কারখানা কর্তৃপক্ষ টাকা জোগাড় করতে পারেনি। তবে আগস্টের ১৬ তারিখ শ্রমিকদের সব পাওনা পরিশোধের কথা বলা হয়েছে।
শিল্প পুলিশ ১-এর উপসহকারী পরিদর্শক (নি.) আবদুল মান্নান জানান, গত কয়েক দিন ধরে বাঁধন কর্পোরেশনের সাড়ে ৬ শতাধিক শ্রমিক কর্তৃপক্ষের নিকট তাদের দুই মাসের বকেয়া বেতনের দাবি করে আসছিল। আজ শ্রমিকরা প্রতিদিনের মতো কাজে যোগ দিতে এসে কারখানা বন্ধের নোটিশ দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। উত্তেজিত শ্রমিকরা যাতে পরিস্থিতি অশান্ত না করে সে জন্য শিল্পপুলিশের বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে নিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে বলেও তিনি জানান।
ই-বার্তা/ডেস্ক রিপোর্ট