আড়তদারদেরও শুল্ক গোয়েন্দা অফিসে ডাকা হবে
ই-বার্তা ডেস্ক।। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, কারসাজির মাধ্যমে পেঁয়াজের দর বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানে এবার বড়ো পাইকার ও আড়তদারদেরও শুল্ক গোয়েন্দা অফিসে ডাকা হতে পারে। আমদানিকারদের কাছ থেকে তথ্য নেওয়ার পর ঐ তথ্যের ভিত্তিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হতে।
দুই দিনে ৪৪ জন বড়ো আমদানিকারককে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল বিকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, যারা বড়ো আমদানিকারক, তারা পেঁয়াজের মজুত করেন না। তবে তারা যাদের কাছে বিক্রি করেছেন, প্রয়োজন হলে তাদের মধ্যে বড়ো ক্রেতাদের (পাইকার, আড়তদার, এজেন্ট) কাছ থেকেও তথ্য নেব।
আমদানিকারকরা জানিয়েছেন, প্রকৃত আমদানিকারকরা পেঁয়াজ মজুদ করেন না। কেননা, ভারতীয় পেঁয়াজ মজুদ করে রাখার সুযোগ নেই। কিন্তু সংকটের সুযোগে কিছু ‘মৌসুমি আমদানিকারক’ দর বাড়িয়ে নিয়েছে। একই সঙ্গে পাইকার ও খুচরা বিক্রেতাও দাম বাড়িয়েছে। তারা বলছেন, সর্বোচ্চ দরে (৭২ টাকা) আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ভোক্ত পর্যায়ে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা হওয়ার কথা। এর বাইরে কারা বাড়তি দামে বিক্রি করেছে, তাদের খুঁজে বের করার দাবি আমদানিকারকদেরও। এছাড়া ভারত যখন পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করে দিল, ঐ সময় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় আমদানিকারকদের ডেকে সিদ্ধান্ত নিলে এ সমস্যা হতো না বলে মনে করেন তারা। তবে বর্তমানে পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে জানিয়ে তারা বলেন, ডিসেম্বরের ১০ তারিখের মধ্যে পেঁয়াজের দাম ৮০ টাকার নিচে নেমে আসবে।
মেঘনা গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত রাতে তাদের আমদানিকৃত ৮০০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ চট্টগ্রাম বন্দরে আসার কথা। ঐ পেঁয়াজ আমদানিতে তাদের খরচ পড়েছে কেজিপ্রতি প্রায় ৩৮ টাকা। অন্যান্য খরচসহ তারা সরকারের সরবরাহ প্রতিষ্ঠান টিসিবিকে (ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ) ৪২ দরে দেবে।
মেঘনা গ্রুপের ডিজিএম সৈয়দ খালিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিটন ৪৪৫ ডলার দামে তুরস্ক থেকে তারা এসব পেঁয়াজ আমদানি করেছেন। এই পেঁয়াজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে টিসিবিকে দেওয়া হবে ৪২ টাকা দামে।
ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু