উপজেলা নির্বাচনে আগ্রহী বিএনপির তৃণমূল
ই-বার্তা ডেস্ক।। সদ্যসমাপ্ত জাতীয় নির্বাচনে লজ্জাজনক হারের পরও উপজেলা ভোটে আগ্রহ রয়েছে বিএনপির তৃণমূলে। বিএনপি অধ্যুষিত এলাকায় উপজেলায় প্রার্থী হতে মরিয়া দলের স্থানীয় নেতারা। অনেকেই প্রচারণাও চালিয়ে যাচ্ছেন।
যেসব উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান রয়েছেন, তারা এবারও উপজেলা নির্বাচন করতে আগ্রহী। এরই মধ্যে তারা এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেছেন। দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেও কোনো কোনো প্রার্থী ভোটে প্রস্তুত। তাদের মতে, ভোটে জিতে এলে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হয়ে যাবে। কিন্তু আওয়ামী লীগকে ফাঁকা মাঠে জিততে দিতে দেওয়া হবে না।
লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্প্রতি স্কাইপিতে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ভোট বর্জনের কথা জানালে সবাই একমত হন। এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের জানান, ‘শুধু উপজেলায় নয়, দলীয় সরকারের অধীনে বিএনপি আর কোনো নির্বাচনে যাবে না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘উপজেলাসহ সামনের সব নির্বাচনের ব্যাপারে আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে- দলীয় সরকারের অধীনে হলে আমরা যাব না। ধানের শীষের প্রতীকে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না। এর পরও কেউ যদি নিজের সিদ্ধান্তে স্বতন্ত্র ভোট করেন তা তার দায়িত্ব, বিএনপির নয়।’
তেঁতুলিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করীম শাহীন সাংবাদিকদের বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে আমরা কোনো স্পষ্ট বার্তা পাইনি। কেউ স্বতন্ত্র নির্বাচনে গেলে তার ব্যাপারে সাংগঠনিক কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে সে ব্যাপারেও আমি অবগত নই। এখন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা সবাই চান, আমি ভোট করি।’
জানা যায়, দলের সাংগঠনিক-সহসাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে স্কাইপিতে লন্ডন থেকে কথা বলেন তারেক রহমান। নয়াপল্টন কার্যালয়ে ওই বৈঠকে অংশ নেওয়া ২১ জন নেতাই উপজেলার ব্যাপারে নেতিবাচক সিদ্ধান্ত জানান। বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি যাচ্ছে না। তার পরও কেউ যদি নির্বাচনে অংশ নেন, সে ব্যাপারে বিএনপির হাইকমান্ড সিদ্ধান্ত নেবে।’
চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম বলেন, ‘ভোটে যাওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত হলে আমরা জানতাম। তবে বেগম খালেদা জিয়াবিহীন দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিয়ে আমাদের অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। তাই উপজেলা নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপি কোনো প্রার্থী দেবে না।’
ই-বার্তা/মোঃ সালাউদ্দিন সাজু