ঋণ দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজে খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ
ই-বার্তা ডেস্ক।। গত বছরের জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছিল ঋণ দিয়ে। যে সফরে যাওয়ার মাস দেড়েক আগে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রেসিডেন্ট ডেভ ক্যামেরন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসানকে জানান, এই দ্বিপক্ষীয় সিরিজ আয়োজনের আর্থিক সংগতি তাঁদের নেই। তবে বিসিবি ঋণ দিয়ে সহায়তা করলে তাঁদের পক্ষে এটি আয়োজন করা সম্ভব।
ক্যারিবীয় বোর্ডকে ঋণ দেওয়ার বিষয়ে কথা বলতে দ্বিধা করলেন না বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী। নিজাম বলেন, ‘আমাদের নগদ প্রবাহ বেশি। তাই ক্যারিবীয় বোর্ডকে ঋণ দেওয়ার মাধ্যমে বিসিবির আর্থিক শক্তিই প্রমাণিত হয়েছে। এই ঋণ আদান-প্রদানের প্রক্রিয়ায় আইসিসিও যুক্ত ছিল। এখানে আইসিসিকে সাক্ষী বলতে পারেন। নিজেদের আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে সিডাব্লিউআই আমাদের অনুরোধ করে। আমরাও দেখলাম যে কোনো অসুবিধা নেই। কারণ এই অর্থ আইসিসির মাধ্যমেই দেওয়া হয়েছে। পুরো প্রক্রিয়ায় আইসিসিও একটি অংশ। ক্যারিবীয় বোর্ডের রাজস্ব আয়ের ভাগ থেকে কেটে আইসিসি আমাদের অর্থটা দিয়ে দিচ্ছে।’
২০১৮ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশের প্রাপ্য বার্ষিক দ্বিতীয় কিস্তির ৪.৫ মিলিয়ন ডলার থেকে বিসিবির সম্মতিতে সিডাব্লিউআইকে দুই মিলিয়ন ডলার দিয়ে দেয় আইসিসি। এই শর্তে যে ২০১৯ সালে ক্যারিবীয় বোর্ডের প্রাপ্য দুই কিস্তির প্রতিটি থেকে আইসিসি এক মিলিয়ন ডলার করে কেটে রাখবে। এবং সেই অর্থ জমা করবে বিসিবির কোষাগারে। তবে ধার দিয়ে আতিথ্য নিতে গেলেও বিসিবি যে বিনা সুদে দুই মিলিয়ন ইউএস ডলার দেয়নি, সেটিও নিশ্চিত করেছেন তিনি।
প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘স্ট্যান্ডার্ড যে ইন্টারেস্ট রেট, সেটিই এ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হচ্ছে। এটিকে বলতে পারেন জেন্টলম্যান অ্যাগ্রিমেন্ট।’ জানা গেছে, বিসিবি ৪.৫ শতাংশ সুদে ঋণ দিয়েছে ক্যারিবীয় বোর্ডকে। যেটি দৈনিক ‘প্রো-রেটা’ ভিত্তিতে। তবে আগামী জুলাইয়ে নির্ধারিত সময়েই ঋণের পুরো টাকা সুদসহ ফেরত পাওয়ার কথা আছে বিসিবির।
ই-বার্তা/মোঃ সালাউদ্দিন সাজু