একচুলা ১৩৫০ দুই চুলা ১৪৪০ টাকার প্রস্তাব
ই-বার্তা ডেস্ক ।। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করছেন ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে গণশুনানির দ্বিতীয় দিনে গতকাল মঙ্গলবার তারা এ বিরোধিতা করেন।
তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ সব শ্রেণির গ্রাহকের জন্য গ্যাসের দাম দ্বিগুণের বেশি করার প্রস্তাব দিয়েছে। প্রস্তাবনা অনুযায়ী, গৃহস্থালি পর্যায়ে দুই বার্নার চুলার জন্য গ্যাসের দাম ৮৫০ থেকে ১৪৪০ টাকা এবং এক বার্নার চুলার দাম ৭৫০ থেকে ১৩৫০ টাকা করার কথা বলা হয়েছে। এরপরই গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং গত সোমবার গণশুনানি শুরু হয়। গ্যাসের দাম গড়ে ১০৩ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে সংস্থাটি। প্রস্তাবে শিল্প ও সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দামও বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সারাবিশ্বে তেলের দাম কমলেও বাংলাদেশে জ্বালানির দাম কমেনি। আবেদন করার পর শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো সবেমাত্র গ্যাস সংযোগ পেতে শুরু করেছে। এখন এই দাম বৃদ্ধি কার স্বার্থে করা হচ্ছে?
তিতাসের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা ৩৫ ভাগ লভ্যাংশ দিতে চাচ্ছেন কিন্তু আমরা তো দুই-তিন ভাগও ব্যবসা করতে পারছি না। তিনি গণশুনানিকে হাস্যকর আখ্যা দেন।
আবাসিকে একচুলা বর্তমান দর ৭৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৩৫০ টাকা, দুই চুলা ৮৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪৪০ টাকা, সার উৎপাদনে প্রতি ঘনমিটার ২.৭১ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮.৪৪ টাকা, ক্যাপটিভ পাওয়ারে ৯.৬২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৮.০৪ টাকা, শিল্পে ৭.৭৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৪.০৫ টাকা, বাণিজ্যিকে ১৭.০৪ টাকার পরিবর্তে ২৪.০৫ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
ই-বার্তা / তামান্না আলী প্রিয়া