ওসিকে আ.লীগ নেতার হুমকি
ডেস্ক রিপোর্ট।। টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির সাবেক সহ সম্পাদক তারেক শামস খান হিমু নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইন উদ্দিনকে হুমকি দিয়েছেন। এতে তিনি নিজ কর্মস্থলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ ঘটনায় ওসি নাগরপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। মারধরের একটি মামলায় আটককৃত আসামিদের ছেড়ে না দেওয়ায় হিমু ওসিকে হুমকি দেন।
জানা গেছে, নাগরপুরের বারাপুষা গ্রামে অঞ্জনা নামের এক নারী গত ১২ জুলাই তার স্বামীর সাথে অভিমান করে বাড়ি থেকে চলে যায়। কয়েকদিন পর ১৭ জুলাই সে ভুল বুঝে সে আবার বাড়ি ফিরে আসে। এ ঘটনায় বেকড়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার নুরু মিয়া ও স্থানীয় কিছু মাতব্বর ওই নারীর ওপর চরিত্র খারাপের অভিযোগ এনে গত ২০ জুলাই তার বিরুদ্ধে সালিশী বৈঠক বসায়। সালিশী বৈঠকে অঞ্জনার স্বামী সন্তানকে বেদম মারপিট করা হয়। ওই নারী ভয়ে ঘরের ভেতর ঢুকে দরজা লাগিয়ে দেয়। পরে আসামীরা ঘরের দরজা ভেঙে ওই নারীকে বেদম মারপিট করে।এ ঘটনার খবর পেয়ে নাগরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ওই নারীকে উদ্ধার করে এবং মারধরের ঘটনায় জড়িত চারজন নুরু মেম্বার, ওয়াজেদ আলী, হারেজ মিয়া ও শাহজাহানকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় ওই নারী বাদি হয়ে গ্রেফতারকৃত চারজনসহ কালাম, সিরাজ ও রবি মোট সাতজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।এদিকে গ্রেফতারকৃত আসামিদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য তারেক শামস খান হিমু নাগরপুর থানার ওসিকে গত ২০ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোবাইলে ফোন দেন। ফোন দিয়ে ওসিকে ধমক দিয়ে গ্রেফতারকৃতদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেন। ওসি এ সময় বিনয়ের সাথে আইনী ব্যাখ্যা দিয়ে অপরাগতা প্রকাশ করেন। তখন উত্তেজিত হয়ে হিমু বলেন, আমি পৃথিবীর সব বুঝি। আমাকে ব্যাখ্যা দিবেন না। আমি বলছি ছেড়ে দিবেন। না ছাড়লে অসুবিধা হবে। আমি আপনাকে দেখে নিব।ওসি মাইন উদ্দিন সাধারণ ডায়েরিতে আরো উল্লেখ করেছেন, এই আওয়ামী লীগ নেতা মাঝে মধ্যেই মাদক মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামিদের ছেড়ে দেয়ার জন্য চাপ দেন। তার এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের উৎসাহ দেন ও তাদের গ্রেফতার না করার জন্য তদবীর করেন।
গত কয়েক মাস আগে রাথুরার মেলাতে পুলিশ মাদক ব্যবসায়ীদের আস্তানা গুড়িয়ে দিলে হিমু তার প্রতিবাদ করেন ও পুলিশের বিরুদ্ধে বিষেধাগার করেন। তার হুমকিতে কর্মস্থলে নিরাপত্তহীনতাভূগে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন বলে জানান ওসি।এ ব্যাপারে তারেক শামস খান হিমু রোববার বিকেলে মুঠোফোনে বলেন, আমি ওসিকে হুমকি দেয়নি। গ্রেফতাকৃতদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। তাছাড়া মাদক মামলায় আটক এমন কারো জন্য আমি কখনও তদবির করিনি। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন বলে তিনি জানান।
সূত্রঃবিডি২৪লাইভ
ই-বার্তা।ডেস্ক