কাঠের ওপর খোদাই করে লেখা কুরআনুল কারিমের পুরো পাণ্ডুলিপি
ই-বার্তা ডেস্ক ।। ‘ট্যাম্পু’ নামের এক ধরণের বিশেষ কাঠের ওপর লেখা হয়েছে এ কুরআন। এ কাঠটিতে উইপোকা কিংবা ঘূণ-এর আক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তাছাড়া এ কাঠটি পানি শোষণেও বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন ও নিরাপদ।
কাঠের ওপর খোদাই করে লেখা এ কুরআনুল কারিমের পুরো পাণ্ডুলিপি এখনো শেষ হয়নি। কুরআনুল কারিমের ১৬ থেকে ৩০তম পারা পর্যন্ত মোট ১৫ পারা লেখা সম্পন্ন হয়েছে। ৭ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে ১ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার খরচ হয়েছে এতে। বাকি ১৫ পারা লেখার প্রস্তুতি চলছে।
১৫ পারা (১৬-৩০) কুরআন লেখার কাজে ব্যবহৃত কাঠের পুরোত্ব ছিল ২.৫৯ মিটার লম্বায় ১৭৭ সেন্টিমিটার এবং ১৪০ সেন্টিমিটার প্রস্থ। ৩১৫টি কাঠের তক্তার উভয় পিঠেই লেখা হয়েছে। এতে ৫ তলা ভবনের সমতুল্য আকার ধারণ করেছে পাণ্ডুলিপিটি।
কুরআনের পাণ্ডুলিপি তৈরিতে বাদামি রঙের ‘ট্যাম্পু’ কাঠের তক্তার মাঝখানে লেখা হয়েছে কুরআনের আয়াত। কাঠের চার পাশে বিভিন্ন নকশা ও দোয়া লেখা হয়েছে।
২০১২ সালের ৩০ জানুয়ারি ইন্দোনেশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সুসিলো বামবাং ইয়োধোয়োনো আন্তর্জাতিক ইসলামী সংস্থা ওআইসির নেতৃবৃন্দদের নিয়ে বিশ্বের দীর্ঘতম কাঠে খোদাই করা কুরআনের এ পাণ্ডুলিটির উদ্বোধন করেন।
কাঠের ওপর খোদাই করা কুরআনের এ ১৫ পারার দীর্ঘ পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে কুরআনের খোদাইকৃত অংশগুলো দর্শনার্থীদের জন্য পালেম্বঙ্গ গ্র্যান্ড মসজিদের সামনে স্থাপন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার মাঝে ১ হাজারেরও বেশি দ্বীপ নিয়ে গঠিত বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ ও বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়া। এ দেশটিতে ৩০০টি স্থানীয় ভাষা রয়েছে। বৈচিত্রপূর্ণ জাতিগোষ্ঠীর বসবাসও রয়েছে এ দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে।
পবিত্র কুরআনের সবচেয়ে দীর্ঘ কাঠের ওপর খোদাই করা কুরআনের ১৫ পারার পাণ্ডুলিপিটি দেখতে প্রতি বছরই হাজার হাজার দর্শক ইন্দোনেশিয়ার পালেম্বঙ্গে জড়ো হয়।
‘কুরআনুল আকবার’ নামে প্রসিদ্ধ বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা কুরআন দেখতে প্রতি বছর হাজার হাজার দর্শক ইন্দোনেশিয়ার ‘পালেম্বঙ্গ’তে জড়ো হয়।
অনেক পরিশ্রমের ফসল কাঠের ওপর খোদাই করা ‘কুরআনুল আকবর’ বিশ্বের দীর্ঘ কুরআন। নিঃসন্দেহে এটি ইসলাম ও মুসলমানদের ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যকে বৃদ্ধি করবে। মুসলিম উম্মাহ তা স্বচক্ষে দেখে তাদের ধর্মীয় চিন্তাচেতনা ও ঈমানকে বহুগুণে বৃদ্ধি করবে।
ই-বার্তা / তামান্না আলী প্রিয়া