কোটা আন্দোলনের ১২ শিক্ষার্থী কারাগারে, আতঙ্কে অনেকেই
ই-বার্তা।। কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া ১২ শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৯ জন কারাবন্দি ও ৩ জন রিমান্ডে। এই পরিস্থিতিতে তাদের ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তায় তাদের পরিবারের স্বজনরা। আতঙ্কে আছেন অনেক ছাত্র-শিক্ষক।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে কঠোর আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। আন্দোলনের মুখে সংসদ অধিবেশনে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারিতে দেরি দেখে আবারো কর্মসূচি ঘোষণা করে আন্দোলনকারীরা। এরপরই শুরু হয় পুলিশের গ্রেপ্তার অভিযান। পাশাপাশি আন্দোলনকারী ছাত্র-শিক্ষকদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ।এখন পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের অন্তত ১২ নেতাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার মামলায় ফারুক হাসান, মশিউর রহমান ও জসিম উদ্দিন রিমান্ড শেষে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। একই মামলায় রাকিবুল হাসান রাকিব, আলী হোসেন শেখ, মাসুদ আলম ও আবু সাঈদ ফজলে রাব্বিও কারাবন্দি। আর উপাচার্যের বাসায় হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় কারাগারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবি সুহেল। আরেক নেতা তারেক আদনান যানবাহন ভাংচুর ও পুলিশের কাজে বাধার মামলায় রিমান্ডে।
ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে কটুক্তির অভিযোগে আন্দোলনকারীদের আরেক নেতা রাশেদ খান তথ্য প্রযুক্তি আইনের মামলায় আসামি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।ছাত্রলীগের হামলায় আহত ছাত্র পরিষদের যুগ্ম আহ্বাবায়ক নুরুল হক নুরু ও রাজশাহী বিশ্বদ্যালয়ের ছাত্র তরিকুল ইসলাম এখনো হাসপাতালে।ছাত্রলীগের হামলার আতঙ্কে নীপিড়নবিরোধী ছাত্র-শিক্ষকরা।কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে দেশে অরাজক পরিস্থিতি তৈরির ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করছে ক্ষমতাসীনরা।