ক্যাসিনোকান্ডে সম্পদ বাজেয়াপ্ত হচ্ছে ৫ এমপিসহ ৭১ জনের
ই-বার্তা ডেস্ক।। ক্যাসিনো, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, দখলসহ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ‘প্রভাবশালীদের’ স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোকের প্রক্রিয়া শুরু করেছে দুদক। অনেকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। প্রথম ধাপের তালিকায় আছেন ৫০ জন এবং দ্বিতীয়টিতে ২১ প্রভাবশালীর নাম আছে।
সম্পদ ক্রোকের জন্য কমিশনের অনুমতি নিয়ে আদালতে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধের মধ্যে আছে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগ। তালিকাভুক্তদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের অনুসন্ধান করছে সংস্থাটি। দুদকের এক মহাপরিচালকের তত্ত্বাবধানে ও এক পরিচালকের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের টিম এদের অবৈধ সম্পদ ও মানি লন্ডারিংয়ের বিষয়ে অনুসন্ধান করছে।
দুদক কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান বলেছেন, অন্তত ১শ’ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান প্রক্রিয়াধীন। কাজ শেষে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। দুদক এখন আর নখ-দন্তহীন বাঘ নয়। দুদক এখন একটি শক্তিশালী স্বাধীন প্রতিষ্ঠান।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, তালিকাভুক্ত প্রভাবশালীদের অবৈধ স্থাবর- অস্থাবর সম্পদ ক্রোক করার জন্য আদালতে আবেদন করা হচ্ছে।
এরই মধ্যে জি কে শামীম ও তার স্ত্রী, খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, গেণ্ডারিয়ার এনামুল হক এনু, রুপন চৌধুরী, পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি (কারা) বজলুর রশিদের অবৈধ সম্পদ ক্রোকের অনুমতি চেয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তারা কমিশনের কাছে আবেদন করেছেন।
কমিশনের অনুমোদনসাপেক্ষে আজকালের মধ্যে আদালতে আবেদন করা হবে।
জানা গেছে, প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে জি কে শামীম ও খালেদসহ ৬ জনের কাছে ৩৪০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুদক। এর মধ্যে জি কে শামীম ও তার স্ত্রীর নামে ২৯৭ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের সন্ধান পেয়েছে দুদক।
এছাড়া খালেদের ৫ কোটি টাকার ও এনামুল হক এনু এবং তার ভাই রুপন ভূঁইয়ার ৩৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ আছে। একইভাবে পুলিশের ডিআইজি বজলুর রশিদের ৩ কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পেয়েছেন কমিশনের কর্মকর্তারা।
এদের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। দু’এক দিনের মধ্যে আরও ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু