ক্ষমতার ক্ষুধায় বিএনপি উন্মাদ হয়ে গেছেঃ ওবায়দুল কাদের
ই-বার্তা ডেস্ক ।। বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বিরোধীদল বিএনপির একটি জনসমাবেশ পূর্বঘোষিত সময় থেকে আরও একবার পিছিয়ে দেয়া হয়েছে।
কিন্তু নতুন তারিখেও ঐ সমাবেশটি আদৌ হতে পারবে কিনা, সে সম্পর্কে নেতারা পুলিশের তরফ থেকে এখন পর্যন্ত কোন নিশ্চয়তা পাননি বলে দলের তরফে জানা যাচ্ছে।আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৯শে সেপ্টেম্বর অর্থাৎ আগামী শনিবার ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার কথা থাকলেও বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের পরামর্শে তা একদিন পিছিয়ে দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বিবিসিকে বলেন, “কিন্তু আমরা এখন পর্যন্ত পুলিশের কাছ থেকে কোন কনফার্মেশন পাইনি, ফলে এনিয়ে আমাদের মধ্যে কনফিউশন (বিভ্রান্তি) রয়েছে।”এই অনিশ্চয়তার ফলে ঐ সমাবেশের জন্য বিএনপির প্রস্তুতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে তিনি জানান।
তবে নতুন তারিখে সমাবেশের সিদ্ধান্তের আগে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের মুখপাত্র ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিম সোমবার ২৯শে সেপ্টেম্বর একটি সমাবেশের ডাক দিয়েছিলেন।বিএনপির নেতারা দলের পূর্বঘোষিত সমাবেশকে ঘিরে আওয়ামী লীগ নেতাদের দেয়া বক্তব্যকে ‘সংঘাত সৃষ্টি করার ইঙ্গিতবাহক’ এবং ‘উসকানিমূলক’ বলে বর্ণনা করেছেন।
তবে আওয়ামী লীগ বলছে, বহু আগে থেকেই ঐ দিন তাদের সমাবেশের পরিকল্পনা ছিল।এই পটভূমিতে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানি এবং দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়ার সঙ্গে দেখা করে সমাবেশের দিন তারিখ নিয়ে আলোচনা করেন।রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলছেন, ঐ বৈঠকেই ডিএমপি কমিশনার একদিন পিছিয়ে রোববার (৩০শে সেপ্টেম্বর) সমাবেশ করতে তাদের পরামর্শ দেন।
সেই পরামর্শ অনুযায়ী বিএনপি থেকে একটি লিখিত আবেদনপত্র জমা দেয়া হয়েছে।”আমাদের সমাবেশটি প্রথম হওয়ার কথা ছিল ২৭শে সেপ্টেম্বর, পুলিশের পরামর্শেই সেটি পিছিয়ে ২৯শে সেপ্টেম্বর করা হয়েছিল। এখন আবার পুলিশের পরামর্শেই সমাবেশ পেছাতে হচ্ছে,” বলছেন মি.আহমেদ।
বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার গঠনসহ বেশ কিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করছে।
ই-বার্তা / ডেস্ক