খালেদা জিয়ার কিছু হলে দায় সরকারের: ড. কামাল
ই- বার্তা ডেস্ক।। কারাবন্দি অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটলে এর দায় সরকারকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর মতিঝিলে খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনের কৌশল নির্ধারণ নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘সম্প্রতি মিডিয়ায় প্রকাশিত তথ্যের আলোকে আমরা অবগত হয়েছি যে, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কারাগারে মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। তার স্বাস্থ্যের গুরুতর অবনতির কারণে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে আমরা গভীর উৎকণ্ঠা ও উদ্বেগ প্রকাশ করছি।’
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার জামিন দেয়া নিয়ে আদালতের টালবাহানার আমরা জানাচ্ছি। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়াসহ অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করছি।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। দীর্ঘদিন কারাগারে থেকে গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সর্বশেষ গত রোববার তার সঙ্গে দেখা করেন স্বজনরা। ওইদিন স্বজনদের জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন গুরুত্বর অসুস্থ খালেদা জিয়া।
সাক্ষাৎ শেষে খালেদা জিয়ার বোন বেগম সেলিমা ইসলাম হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়া হাত সোজা করতে পারছেন না। তার হাত বাঁকা হয়ে গেছে। হাতের আঙুল বাঁকা হয়ে গেছে, খুবই খারাপ অবস্থা এবং দুই হাঁটু অপারেশন করা হয়েছে। হাঁটুতেও ব্যথা, হাঁটু ফুলে গেছে- তিনি পা ফেলতে পারছেন না। এমতাবস্থায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঠিক চিকিৎসা না হলে তিনি বাঁচবেন কীভাবে এমন প্রশ্নও তোলেন সেলিমা ইসলাম।
ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাইয়্যিদ প্রমুখ।