খেলা না হলে কুমিল্লা ফাইনালে
ই-বার্তা।। প্রথমে বৃষ্টি, তারপর খেলা শুরু নিয়ে নানা ঘটনা, নাটকীয়তা আর গুঞ্জন। শেষ পর্যন্ত কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স আর রংপুর রাইডার্সের কোয়ালিফাইয়ার ২ গতকাল রোববার শেষ হয়নি। বৃষ্টিতে ৭ ওভার খেলা হওয়ার পর রাতে বৃষ্টি কমলেও তা আর শুরু হয়নি। নানা ঘটনার পর রাত ১০.১০ মিনিটে জানানো হয়েছে খেলা যেখানে বন্ধ হয়েছে ঠিক সেখান থেকেই শুরু হবে পরের দিন সোমবার।
সেই মতে আজ সন্ধ্যা ৬ টায় খেলা শুরুর কথা। যেথেতু ৭ ওভার হয়ে গেছে তাই রংপুর পাবে আর ১৩ ওভার ব্যাট করার সুযোগ। জবাবে পাল্টা ব্যাটিংয়ে নামবে কুমিল্লা। এটা হল স্বাভাবিক সমীকরণ বা হিসেব নিকেশ। কিন্তু যদি আজও খেলা না হয় তাহলে কি হবে? এমন প্রশ্নও কিন্তু আছে অনেকের মনে। আজ (সোমবার) দ্বিতীয় দিনের অত যদি বৃষ্টি বাধা হয়ে দাঁড়ায়, আর একটি বল মাঠে না গড়ায়, তাহলে পয়েন্ট টেবিলের উপরে থাকার সুবাধে কুমিল্লা ফাইনালে চলে যাবে।
সোমবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিপিএল টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। বিপিএল টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যানের এ বক্তব্যের প্রেক্ষিতে খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কেন গতকাল (রোববার) খেলা না হওয়ার পর কুমিল্লাকে জয়ী ঘোষণা করা হল না। যদিও আজ দ্বিতীয় দিনের মত খেলা না হওয়ায় কুমিল্লাকে জয়ী ঘোষণা করা যায়, তাহলে কাল কেন গেল না? কিসের ভিত্তিতে ম্যাচ দ্বিতীয় দিনে গড়াল?
এ প্রশ্ন করা হলে জালাল ইউনুস বলেন, ‘বাইলজে পরিষ্কার লেখা আছে যদি কোন ম্যাচ টাই হয় কিংবা ‘নো রেজাল্ট থাকে’ তাহলে সুপার ওভারে ম্যাচ ভাগ্য নিশ্চিত করা হবে।’
জালালের ধারণা বেশিরভাগ ক্রিকেট অনুরাগী ও কুমিল্লা ম্যানেজমেন্ট ধরে নিয়েছিলেন শুধু টাই হলেই কেবল সুপার ওভারেই ম্যাচ ভাগ্য করা যাবে কিন্তু ‘নো রেজাল্ট’ থাকলেও যে সুপার ওভারে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করা যাবে এটা অনেকে লক্ষ্য করেননি।
জালালের কথা, ‘খোদ কুমিল্লা ম্যানেজমেন্ট ও বিষয়টি ভুল বুঝেছিলেন। পড়ে কথার এক পর্যায়ে সুপার ওভার যে প্লেয়িং কন্ডিশনে আছে তা নিশ্চিত করার পর কুমিল্লা সুপার ওভার খেলতে অস্বীকৃতি জানায়। তখন কুমিল্লাকে কয়েকটি বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়।
জালালের ভাষ্য মতে, ‘টুর্নামেন্ট কমিটি ওই সব বিকল্প প্রস্তাব দেওয়ার অধিকার রাখে। আর বাই লজে ছিল যে, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় টুর্নামেন্ট কমিটি যে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। সে কারণেই হয় ৫/৭ ওভার কিংবা সুপার ওভারে ম্যাচ নিষ্পত্তির কথা বলা হয়েছিল কুমিল্লাকে। এমনকি আজ নতুন করে ম্যাচ শুরুর প্রস্তাবও নাকি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনটাই মনভূত হয়নি কুমিল্লার। অবশেষে তারা যেখানে খেলা বন্ধ হয়েছে সেখান থেকেই খেলতে রাজি হয়।’