গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও রাজনীতির দার্শনিক ছিলেন বঙ্গবন্ধু
ই-বার্তা ডেস্ক।। সোমবার বিকালে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ আয়োজিত স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং রাজনীতির দার্শনিক ছিলেন বঙ্গবন্ধু।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেটা ছিল গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। প্রতিটি কথায় গণতন্ত্র ছিল। দেশের মানুষকে তিনি বুঝতে শিখিয়েছিলেন কিভাবে দেশে গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। সেদিন যদি তিনি বলতেন- আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন, তাহলে ওই খানেই তাকে হত্যা করা হতো।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু সেই আন্দোলনটাকে ধীরে ধীরে টিকিয়ে রেখে একটা সময় গণতান্ত্রিক সংগ্রামে রূপ দিলেন। ঠিক তখনই ইয়াহিয়া খান বাঙালি নিধনে অপারেশন সার্চলাইট অনুমোদন দিল। আমাদের ওপর গণহত্যা চালানো হল।
সেই সময় বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘আমাদের আর পাকিস্তানের সঙ্গে থাকা সম্ভব না। তখন বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন। এটাই হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর দর্শন- একটা গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে কীভাবে স্বাধীকার থেকে ধীরে ধীরে স্বাধীনতার আন্দোলনে নিতে হয় এবং স্বাধীন করতে হয়। রাজনীতির ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু একজন নতুন দার্শনিকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। পৃথিবীর কোনো নেতা এভাবে একটি স্বাধিকারের আন্দোলনকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় স্বাধীনতার আন্দোলনে পরিণত করতে পারেননি। বঙ্গবন্ধু সেটা করতে পেরেছিলেন।’
এসময় নিজের মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থদের আহ্বান জানিয়ে খালিদ বলেন, ৩০ লাখ শহীদ যারা স্বাধীন দেশের আলো-বাতাস কিছু পায় নাই- তাদের স্বপ্ন আপনি আমরা সবাই সম্মিলিতভাবে বাস্তবায়ন করব। কোনো ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে আপস নয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর এম মাহবুব-উল ইসলাম, নৌপরিবহন সচিব মো. আবদুস সামাদ, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমোডর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ উদ্দিন আহমদে ভূইয়া প্রমুখ।
ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু