ঘন চিনি, স্যাকারিন আর ফ্লেভার দিয়ে তৈরি হচ্ছিল ম্যাংগো জুস
ই-বার্তা ডেস্ক ।। কাপড় তৈরিতে ব্যবহৃত রং দেয়া হচ্ছিল ম্যাংগো জুসে। এছাড়া ঘন চিনি, স্যাকারিন আর ফ্লেভার দিয়ে তৈরি করে বাজারজাত করা হচ্ছিল বিভিন্ন ধরনের ভেজাল জুস ও সস।
বুধবার কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ভোষণা গ্রামে বিএসটিআই ও পরিবেশ ছাড়পত্রবিহীন এশিয়ান ফুডস কোম্পানি নামে একটি কারখানায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে কারখানায় জুস ও সসে ভেজাল কেমিক্যাল এবং কাপড়ের রঙের ব্যবহার পাওয়া যায়। দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রবীন্দ্র চাকমা ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক আসাদুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অনুমোদনহীন ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক আবু বকর সিদ্দিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানাসহ কারখানাটিতে তালা ঝুলিয়ে দেন।
দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী নির্বাহী কর্মকর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেট রবীন্দ্র চাকমা জানান, দেবিদ্বার পৌর এলাকার ভোষণা গ্রামে নোংরা পরিবেশে বৃহৎ আকারে বিল্ডিং নির্মাণ করে সাইনবোর্ড বিহীন এশিয়ান ফুডস কোম্পানি দীর্ঘ দিন ধরে ঢাকার বিএসটিআই কর্তৃক অনুমোদিত এশিয়ান ফুডস এর নাম ভাঙিয়ে কারখানায় নকল ও ভেজাল খাদ্য দ্রব্য তৈরি করে কুমিল্লাসহ সারাদেশে বাজারজাত করে আসছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে দুপুরে ওই কারখানায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় দেখা যায় কারখানায় নোংরা পরিবেশে কাপড়ে ব্যবহৃত বিভিন্ন রং, ফ্লেভার আর ঘনচিনি ও স্যাকারিনের দিয়ে মেশিন ছাড়াই ম্যাঙ্গো জুস ও সস তৈরি করা হচ্ছে। এ সময় এশিয়ান ফুড কোম্পানির মালিক আবু বকর সিদ্দিক আদালতের কাছে দোষ স্বীকার করে ক্ষমাও চান।
আদালত এসব অপরাধের কারণে অভিযুক্ত নকল এশিয়ান ফুড কোম্পানিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানাসহ কারখানাটি তালাবদ্ধ করে দেন। এ সময় স্যাকারিনযুক্ত বিপুল পরিমাণ ভেজাল ম্যাংগো জুস, সস ও নানা ক্যামিকেলসহ ৫ হতে ৭টি আইটেমের নকল ও ভেজাল পণ্য জব্দ করে এলাকাবাসীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হয়। অপরদিকে দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী কর্মকর্তা রবীন্দ্র চাকমা বুধবার দিনব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে উপজেলা সদরের আজগর ও ছাবরিয়া হোটেল, গোমতী ফার্মেসি, মাংস বিক্রেতা এবং মোটরযান ট্রাক্টর চালককে জরিমানা করেন।
ই-বার্তা / তামান্না আলী প্রিয়া