ঘূর্ণিঝড় বুলবুল : খুলনাঞ্চলের বেড়িবাঁধ নিয়ে শঙ্কা
ই-বার্তা ডেস্ক।। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় বুলবুল ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। ফলে মোংলা বন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। এর প্রভাবে উপকূলীয় নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় তিন জেলা খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরায় প্রায় ৫০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
অভিযোগ রয়েছে, অবৈধভাবে বেড়িবাঁধের নিচে ছিদ্র করে পাইপ বসিয়ে চিংড়ি ঘেরে তোলা হচ্ছে নদীর লবণপানি। ফলে দুর্বল হয়ে পড়ছে বাঁধ। খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরার মানুষকে বন্যা ও জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় বেড়িবাঁধ দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকা খুলনার কয়রা-দাকোপ, সাতক্ষীরার শ্যামনগর-আশাশুনি ও বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সিডর-আইলাসহ বিভিন্ন দুর্যোগের কবলে পড়া এসব এলাকার সাধারণ মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন আতঙ্কে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে জোয়ারে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হলে বাড়িঘর, ফসল, মাছের ঘের ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবেলায় খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮৫৩টি সাইক্লোন শেল্টার।
খুলনার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য বেলাল হোসেন বলেন, কয়রার বেড়িবাঁধের বেশ কিছু এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ। পানির যে চাপ তাতে যে কোনো সময় বাঁধ ভেঙে গ্রাম তলিয়ে সিডর-আইলার মতো ক্ষতি হতে পারে।