চাকরিতে ভাইভা বোর্ডে নিজেকে যেভাবে প্রস্তুত রাখবেন
ই-বার্তা ডেস্ক: যে কোন চাকরির ক্ষেত্রে ভাইবা বোর্ড বা মৌখিক পরীক্ষায় ফ্রেসার বা অনভিজ্ঞরা ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে স্বভাবতই ঘাবড়ে যান। যার ফলশ্রুতিতে শেষ পর্যন্ত চাকরি হাত ছাড়া হয়ে যায়। এসব সমস্যা সমাধানে বিস্তারিত কিছু তথ্য জেনে নিন।
প্রস্তুতি: যখন চাকরির আবেদন করেন, তখন আপনার সময় নষ্ট করবেন না। এছাড়া নিয়োগকারীর বিরক্তির কারণ হবেন না। পরিবর্তে, নিজেকে প্রস্তুত করুন এবং নিয়োগকারীর চাহিদা পূরণ করার চেষ্টা করুন। একজন মানবসম্পদ কর্মকর্তা কী আশা করেন একজন ফ্রেশারের কাছ থেকে। এ নিয়ে বহু আলোচনা হতে পারে, একেক প্রতিষ্ঠান একেক কাজের জন্য চাহিদা ভিন্ন হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে মূল কিছু চাহিদা আছে, যা সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
চাকরির ধরণ জানা: যদি অনেক চাকরি সন্ধান করেন, তবে আপনার পাঠানো সব আবেদনপত্র ট্র্যাক রাখা কঠিন হতে পারে। আবেদনকৃত চাকরির ব্যাপারে মনে রাখার জন্য একটি কাজের বিবরণসহ পাঠানো আবেদনপত্রের তালিকা রাখুন। যখন নিয়োগকর্তা আপনাকে কল করবেন; তখন আপনি জানবেন কোন আবেদনের প্রেক্ষিতে কী বলছেন। অনেক সময় নিয়োগকর্তা প্রাথমিক সাক্ষাৎকারের অংশ হিসেবে আবেদনকারীকে ফোন করতে সময় ব্যয় করেন। তখন অনেক আবেদনকারী ভুলে যান যে, তারা কোন পদের চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন অথবা তারা কোন কোম্পানিতে আবেদন করেছিলেন।
প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানা: এটি প্রাথমিক কাজ, যা বেশিরভাগ আবেদনকারী অনুসরণ করেন না। বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় যে, তারা কল করার আগে অথবা সাক্ষাৎকারের আগে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা রাখেন না। কেননা প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস, পণ্য বা সেবা, প্রতিষ্ঠানের ভালো কোন খবর জানা, ভাইভায় দুর্দান্ত ছাপ তৈরি করার শ্রেষ্ঠ উপায়। তথ্যপ্রযুক্তির যুগে আঙুলের ছোঁয়ায় চাইলেই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা নিতে পারেন। খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন পরিচিত কেউ কর্মরত আছেন কিনা। তার কাছ থেকেও ধারণা নিতে পারেন।
দক্ষতার সাথে নিজেকে উপস্থাপন: সাক্ষাৎকারের সময় চাকরিদাতা আপনাকে নিজের প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছে, তিনি কীভাবে কোম্পানির সমস্যার সমাধান করতে পারেন। সাক্ষাৎকারের সময় উত্তর দেওয়া প্রতিটি প্রশ্নের সমাধান হওয়া উচিত যে, তাকে নিয়োগ করা হলে প্রতিষ্ঠানের কোন সমস্যাগুলো সমাধান করা যাবে। সাক্ষাৎকারের একটি বহুল প্রচলিত প্রশ্ন, ‘নিজের সম্পর্কে বলুন’। এর মানে হলো- আপনার সম্পর্কে এমন কিছু বলুন, যা প্রতিষ্ঠানের সমস্যা সমাধান করতে পারে।
প্রাথমিকভাবে প্রস্তুত থাকা: প্রার্থীরা সবসময় প্রাথমিক চাকরি-অনুসন্ধান টিপসকে উপেক্ষা করেন। প্রার্থীরা প্রায়ই সিভি বা রিজুইমির ফরমেটে ভুল, সাক্ষাৎকারে দেরি করা, কিংবা সাক্ষাৎকারে অপ্রাসঙ্গিক তথ্য দেন। নিয়োগকর্তা প্রার্থীর কাছ থেকে জানতে চান যে, তারা যেভাবে কাজ করে তা কর্মচারী হিসাবে কেমন হবে। এছাড়াও পোশাকের রুচি, নোট নিতে কলম-কাগজ, সিভি বা রিজুইমির কপি, সময়মত সাক্ষাৎকারে আসা, ব্যবহার– এসব খুটিনাটি ব্যাপারগুলো নিয়োগকর্তা লক্ষ্য করে থাকেন। তিনি আশা করেন, প্রার্থী এসব ব্যাপারে অবগত থাকবেন এবং সবকিছু গুছিয়ে একটি সফল সাক্ষাৎকারে অংশ নেবেন। সব আবেদনকারীই শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন। তবে নিয়োগকর্তা তাকেই খুঁজছেন, যিনি যোগ্যতা সম্পন্ন, কাজ করার জন্য প্রস্তুত। তাকে নিয়োগ করা হলে প্রতিষ্ঠানের সমস্যাগুলো সমাধান করা যাবে।
ই-বার্তা// আরাফাত ইসলাম শুভ