চার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে থাকার ঘোষণা
ই-বার্তা ডেস্ক ।। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ও ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া আলোচনা করে ২৮ মার্চ পর্যন্ত নিরাপদ সড়ক আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা দেওয়া হলেও তা না মেনে চার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। বুধবার (২০ মার্চ) রাতে আন্দোলনরত নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা এ ঘোষণা দেন।
চার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, দোষী চালকের শাস্তিসহ নিরাপদ সড়কের দাবিতে ঘোষিত ৮ দফা দাবি আদায়ে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকাল থেকেও তাদের সড়ক অবরোধ অব্যাহত থাকবে।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী কাওসার হাবিব বলেন, আমাদের সবগুলো দাবি নিয়ে প্রতিনিধি দল কথা বলেনি। যারা গেছে তারা আমাদের দাবি নিয়ে কথা বলেতে পারেনি। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাবির দৃশ্যমান বাস্তবায়ন দেখতে চাই। না হলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
আন্দোলনে থাকা আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ফয়সাল কবির রাফি বলেন, ‘যে প্রতিনিধি দল মেয়রের সঙ্গে দেখা করেছেন, তারা কেন্দ্রীয় কোনও কমিটি না। তারা মেয়রের সঙ্গে দাবি নিয়ে সঠিকভাবে কথা বলতে পারেননি। তারা আন্দোলনরত অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও আন্দোলন স্থগিতের বিষয়ে কোনও কথা বলেননি।
এদিকে মেয়রের সঙ্গে কথা বলা ১০ জনের প্রতিনিধি দলের এক সদস্য বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রোফেশনালের শিক্ষার্থী তৌহিদুজ্জামান বলেন, “আমাদের আলোচনায় তিনটি দাবিকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি। এর মধ্যে ছিল ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চালকের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির আদেশ দেওয়া। উত্তরে মেয়র বলেছেন, ‘চালকের সাত দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। সেহেতু সাত দিনের আগে ও আইনি প্র্রক্রিয়া ছাড়া সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া যায় না। তবে ৩০ দিনের মধ্যে চার্জশিট গঠন করে বিচার কাজ শেষ করা ও আসামির সাজা নিশ্চিতে কাজ করা হবে।
২৮ মার্চ পর্যন্ত আশ্বাসের ফলশ্রুতি না পেলে ২৯ মার্চ থেকে সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন শুরু হবে।’
এ ঘোষণার পর বিইউপির শিক্ষার্থীরা সড়ক ছেড়ে চলে যান। তবে ওই চার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সড়ক ছাড়েননি। বৃহস্পতিবার সকালে তারা আবারও জমায়েত হবেন।
ই-বার্তা / শাহাদাত ছৈয়াল