চার মাসের শিশুকেও ধর্ষণ করে ‘মানুষ’!
ই-বার্তা ।। শিশুটি কেবল মেয়ে হওয়ার চিহ্ন নিয়ে জন্ম নিয়েছে। নারীত্বের কোনো ভাব তো দূরের কথা এখনও বসতে, খেতে, কথা বলতেও শেখেনি। এই পৃথিবীর সঙ্গে ঠিকভাবে এখনও মানিয়েও নিতে পারেনি সে। বয়স হয়েছে কেবল ৪ মাস। অথচ অবুঝ এই শিশুকেই ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে। ভারতের ইন্দোরের রাজওয়াদায় এ ঘটনা ঘটেছে।
ধর্ষণের পর শিশুটিকে হত্যাও করা হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী শিব ভিলাস প্যালেস থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনার নির্মমতায় লাশ উদ্ধার করতে আসা পুলিশ সদস্যদেরও চোখে পানি আসার উপক্রম হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ওই শিশুরই এক আত্মীয়কে আটকও করা হয়েছে।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে শিশুটির উপর চালানো হিংস্র যৌন নির্যাতনের চালানোর প্রমাণ পাওয়ার কথা বলা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মাথায় আঘাতের কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
দায়িত্বে অবহেলার কারণে এক পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বলা হচ্ছে নির্মম এই ঘটনার বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের উচ্চ পর্যায়ে জানিয়েছিলেন না ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
এমন এক সময়ে এ ঘটনা ঘটল যখন কাঠুয়া ও উন্নাও ধর্ষণকাণ্ডের প্রদিবাদে উত্তাল ভারত। কাঠুয়ায় ধর্ষণের শিকার আসিফারি মতো ইন্দোরের এই শিশুর পরিবারও যাযাবর সম্প্রদায়ের। এই শিশুর বাবা বেলুন বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
১২ বছরের নিচের শিশুকে ধর্ষণে অভিযুক্তের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের একটি অধ্যাদেশে গতকাল শনিবারই অনুমোদন দিয়েছে ভারতের মন্ত্রিসভা।
রাজওয়াদার বাইরের একটি বারান্দায় বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটি তার পরিবারের সাথে ঘুমিয়েছিল। টহলরত পুলিশ সদস্যদের নাকের ডগার উপর দিয়েই তাকে অপহরণ করা হয়।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, সাইকেলে এক ব্যক্তি এসে শিশুটিকে তুলে নিয়ে একটি বাণিজ্যিক ভবনের দিকে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে একা ফেরেন ওই ব্যক্তি। পুলিশ তাকে আটকও করেছে।
শিশুটির মা পুলিশকে জানিয়েছে, রাত ৩টার দিকেও তার একবার ঘুম ভাঙে, তখনও শিশুটি ঘুমাচ্ছিল। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঘুম ভেঙে তিনি দেখেন শিশুটি নেই।
এর কিছুক্ষণ পর পুলিশেরে কাছে অভিযোগ জানানো হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।