চীনে পরিবার থেকে আলাদা করা হচ্ছে মুসলিম শিশুদের
ই-বার্তা ডেস্ক।। মা-বাবা থেকে মুসলিম শিশুদের আলাদা করে দিচ্ছে চীন সরকার। এক গবেষণায় উঠে এসেছে মুসলিমদের ধর্মবিশ্বাস নিয়ন্ত্রণে চীন সরকার এমনটা করছে।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, একই সঙ্গে হাজার হাজার প্রাপ্তবয়স্কদের পরিবার থেকে আলাদা করে জোরপূর্বক ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি করে রাখা হয়েছে। এছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে বড় বড় বোর্ডিং স্কুলভবন।
স্থানীয়ভাবে প্রাপ্ত তথ্য এবং ৬০ জনের সাক্ষাৎকার সংগ্রহের ভিত্তিতে চীন সরকারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানায় বিবিসি।
সম্প্রতি ৪শ’র বেশি শিশুকে তাদের মা-বাবা থেকে আলাদা করে ফেলা হয়েছে। হয় ক্যাম্পে নয়তো কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে তাদের। হাজার হাজার প্রাপ্তবয়স্কদের একাধিক ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি করে রাখার ঘটনার পর শিশুদের ওপর এমন কর্মকাণ্ড নির্দেশ করে যে, উইঘুর মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাটিতে ধর্মীয় বিশ্বাসের শিকড় উৎপাটন করতে এমনটা করছে দেশটির সরকার।
জিনজিয়াংয়ে এত বেশি সরকারি কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে যে, কোনো বিদেশি সাংবাদিক সেখানে বেশিক্ষণ থাকতে পারেন না। ২৪ ঘণ্টা তাদের নজরদারি করে রাখা হয়।
ইস্তানবুলের একটি হলে উইঘুর মুসলিমদের বিশাল একটি দলের অধিকাংশই জানান, তারা তাদের সন্তানদের হারিয়েছেন। সন্তানদের সঙ্গে তাদের ছবি দেখিয়ে বলেন, শিশুদের সঙ্গে তাদের কোনো ধরনের যোগাযোগ নেই এখন।
চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে প্রায় এক কোটি উইঘুর মুসলিমের বসবাস। এ জনগোষ্ঠীর ৪৫ ভাগই তুর্কি নৃগোষ্ঠীর। কয়েক দশক ধরে চীনের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও অর্থনৈতিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনও গড়ে তোলে উইঘুররা।
পরবর্তীতে তাদের দমন করতে এ জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর আরও বেশি কঠোরতা অবলম্বন করে চীনের কমিউনিস্ট সরকার।
ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু