চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বাংলাদেশিকে কুপিয়ে হত্যা
ই-বার্তা ডেস্ক।। চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুর সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে ওমিদুল ইসলাম (৩৩) নামে এক বাংলাদেশিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার সকালে নাস্তিপুর সীমান্তের ওপারে ভারতীয় অংশে তার ক্ষত-বিক্ষত লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
পরে ভারতের কৃষ্ণনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় বলে জানিয়েছে বিজিবি।
খবর পেয়ে নিহত বাংলাদেশি ওমিদুলের মরদেহ ফেরত চেয়ে সকালেই সীমান্তে পতাকা বৈঠক করেছে বিজিবি-বিএসএফ।
নিহত ওমিদুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম জাকারিয়া জানান, নাস্তিপুর গ্রামের কৃষকরা সকালে সীমান্ত সংলগ্ন মাঠে কৃষি কাজ করতে যান।
এ সময় বাংলাদেশি সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ গজ ভিতরে ভারতের বিজয়নগর অংশে ওমিদুলের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
এরপর খবর দেয়া হয় বিজিবির স্থানীয় বিওপি ক্যাম্পকে। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর দফতর থেকে ঘটনাস্থলে আসেন বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সুকুমার বিশ্বাস জানান, নিহত বাংলাদেশি ওমিদুলের মরদেহ দেখে ধারণা করা হচ্ছে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের নামে দামুড়হুদা থানাতে বেশ কয়েকটি মাদক ও চোরাচালানের মামলা রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক লে: কর্নেল ইমাম হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, বাংলাদেশি নিহতের খবর পেয়ে সকালেই নাস্তিপুর সীমান্ত পরিদর্শন করা হয়।
পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সীমান্তের জিরো পয়েন্টে দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে নিহত বাংলাদেশীর মরদেহ ফেরত চাওয়া হয়। ময়নাতদন্তের পর নিহতের মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে।
নিহতের বাবা আব্দুল মালেক জানান, রোববার সন্ধ্যায় বাড়িতেই ছিলো ওমিদুল। এরপর একটি ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বের হয় সে। এরপর রাতে আর বাড়িতে ফেরেনি।
তিনি ছেলে হত্যার ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।
ই-বার্তা/ শফিকুল ইসলাম