জন্মশতবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের শ্রদ্ধা
স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে তার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ।
মঙ্গলবার ( ১৭ মার্চ) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ ইব্রাহীম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয়ের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা।
ক্ষণজন্মা এই মহাপুরুষের জন্ম হয়েছিল শতবর্ষ আগে ১৯২০ সালের ১৭ মার্চে গোপালগঞ্জের অজপাড়াগাঁ টুঙ্গিপাড়ায়, সম্ভ্রান্ত শেখ পরিবারে। শাসন-শোষণে নিষ্পেষিত জাতির মুক্তি দিতে তার আবির্ভাব ঘটে ধূমকেতুর মতো। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অভ্যুদয় ঘটে বাংলাদেশ নামের স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের। সেই থেকে বাঙালির দৃপ্তকণ্ঠে উচ্চারিত হচ্ছে- ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।’
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ঘোষণা করা হয়েছে মুজিববর্ষ। বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর দিন আজ ১৭ মার্চ ২০২০ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এ বর্ষ উদযাপন করা হবে। দিবসটি উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হলেও করোনা ভাইরাসের কারণে বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় মুজিববর্ষের কর্মসূচি পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে।
রাত আটটায় বঙ্গবন্ধুর জন্মক্ষণে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আতশবাজির মধ্যদিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর কর্মসূচির উদ্বোধন করা হবে। রাষ্ট্রপতি তার ভাষণের পরপর আতশবাজির মাধ্যমে জন্মশতবার্ষিকীর কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রেকর্ড করা ভাষণসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে সারাদেশে বিভিন্ন মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, অন্যান্য উপাসনালয়ে প্রার্থনা সভা ও দুস্থ ও এতিমদের মধ্যে খাবার ও ত্রাণ বিতরণ করা হবে।
এর আগে গত ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণ গণনা শুরু হয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তেজগাঁও এলাকার পুরাতন বিমান বন্দরে (জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ড) ‘জয় বাংলা – জয় বঙ্গবন্ধু’ শ্লোগানে ক্ষণ গণনার উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
জাতি যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মুজিববর্ষের সূচনা ও বঙ্গবন্ধুর জন্ম দিবসটি উদযাপন করছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে বাংলাদেশী দূতাবাসসমূহে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করা হবে। দিনটিকে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।