জমি জালিয়াতি চক্রের গডফাদার ফিরোজ
ই-বার্তা ডেস্ক।। রাজধানীতে দীর্ঘদিন ধরে কিছু জালিয়াত চক্র আদালতের ডিক্রি জালিয়াতি করে অবৈধভাবে বিভিন্ন মানুষের জমি দখল ও হয়রানি করে আসছে। আর এই চক্রের মূল হোতা ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজ।
অভিযোগ রয়েছে, ফিরোজের তত্ত্বাবধায়নে একটি জালিয়াত চক্র বহুবছর ধরে ধানমন্ডি, পান্থপথ, কলাবাগান ও রাজাবাজার এলাকার বিভিন্ন জমির কাগজপত্র জালিয়াতি করে অবৈধ দখল ও হয়রানি করে আসছে। এই কাজে তারা আন্ডারওয়ার্ল্ডের সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বেশ কিছুদিন আগে ফিরোজের জালিয়াত চক্রটির চোখ পড়ে পান্থপথের বউ বাজারের মো. শহিদুল্লাহ ও রোস্তম আলী গংদের প্রায় দুই একর খালি জমিতে। ফিরোজ জমিটি জালিয়াতির জন্য অভিনব পন্থা অবলম্বন করেন। জালিয়াত চক্রটি প্রথমে তিন জন মানুষকে এই জমিটির মালিক হিসেবে দাঁড় করান যাদের পিতা ও মাতার নাম এবং জমিটির প্রকৃত মালিক মো. শহিদুল্লাহর পিতা ও মাতার নাম একই। এই তিন জনের একজনের নাম পরিবর্তন করে মো. শহিদুল্লাহর নামের সঙ্গে মিল রেখে ‘শহিদুল্লাহ আবদুল মজিদ’ রাখা হয় যার প্রকৃত নাম আবদুল মজিদ। অন্য দুই জন হলেন সুফিয়া বেগম ও রাজিয়া বেগম।
জালিয়াত চক্রের শহিদুল্লাহ আবদুল মজিদ ভুয়া মো. শহিদুল্লাহ সেজে সিটি করপোরেশন থেকে আলোচ্য জমির বিপরীতে একটি হোল্ডিং নম্বর নেন। এটি প্রকৃত মালিক মো. শহিদুল্লাহর আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন বাতিল করে। ভুয়া শহিদুল্লাহ মজিদ এই হোল্ডিং নম্বর ব্যবহার করে ইলেকট্রিসিটি, পানি ও গ্যাসের লাইনও নেন। শফিকুল আলম ফিরোজ আবদুল মজিদের নাম কখনো শহিদুল্লাহ মজিদ আবার কখনো শহিদুল্লাহ আব্দুল মজিদে পরিবর্তন করে প্রকৃত মালিক মো. শহিদুল্লাহর জমিতে সাইনবোর্ড লাগান এবং জমিটি দখলের চেষ্টা করেন। কিন্তু স্থানীয় কাউন্সিলরের উদ্যোগের কারণে তিনি জমিটি দখল করতে ব্যর্থ হন। এভাবে নগরীর অনেক নিরীহ মানুষের জমি দখল করে নিয়েছে ফিরোজ।
ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু