জামিন পেয়ে গেল প্রশ্ন ফাঁসের মূল হোতারা
ই-বার্তা ডেস্ক।। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ও বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় কয়েকটি সংঘবদ্ধ চক্র। এ চক্রের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেছিল সিআইডি। জামিন অযোগ্য ওই মামলার চার আসামি জামিন পেয়েছেন।
সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে অভিযুক্তের অতীত কর্মকাণ্ড ও এফআইআরে কী ধরনের অভিযোগ রয়েছে দেখা দরকার। যদি অভিযোগ গুরুতর ও অতীত রেকর্ড খারাপ হয় তাহলে জামিন দেওয়া উচিত নয়।
এ ব্যাপারে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, প্রশ্ন ফাঁসকারী কেউ দৃশ্যমান আয়ের উৎস দেখাতে পারেনি। কিন্তু নামে-বেনামে তাদের কোটি কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। যে ধারায় এই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে সেটি জামিন অযোগ্য। মামলায় কোনো ধরনের ফাঁকফোকর নেই।
দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের বারঘরিয়ার হাফিজুরের হিসাব বিবরণী পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২০১০ সালের ২০ ডিসেম্বর থেকে ২০১৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৫ কোটি টাকা অবৈধভাবে উপার্জন করেছেন তিনি।
ওই মামলার দুই নম্বর আসামি গোপাল্গঞ্জের ইব্রাহীম, চার নম্বর আসামি সিরাজগঞ্জের মোস্তফা কামাল, পাঁচ নম্বর আসামি গাইবান্ধার আইয়ুব আলী বাঁধন এরা প্রত্যেকেই অল্প সময়ে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। সিআইডি বলছে, জড়িতরা পরস্পর যোগসাজশে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে অর্থ উপার্জন করেন।
সংশ্নিষ্টরা বলছেন, প্রশ্ন ফাঁস করে এ চক্রের অনেকে বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। ইব্রাহীম, হাফিজ, মোস্তফা, তাজুল ও বাঁধন সব নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির হোতা। সব মিলিয়ে তাদের ২০ কোটি টাকার সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গেছে।
যারা অভিযুক্ত :সিআইডি বলছে, এখন পর্যন্ত তদন্তে প্রশ্ন ফাঁসের বিভিন্ন পর্যায়ে অনেকের নাম উঠে এসেছে।
ই- বার্তা / আরমান হোসেন পার্থ