জামিন মেলেনি রাজউকের সাবেক প্রধান প্রকৌশলীর
ই- বার্তা ডেস্ক।। রাজধানীর বনানীর এফ আর টাওয়ার নির্মাণ করার ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় রাজউকের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমানকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। একই সঙ্গে, তার জামিন কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। আদালতে আজ দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। আইনজীবীকে তার শারীরিক অসুস্থতার বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আগামী ১০ দিনের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আসামিপক্ষে শুনানি করেন মো. কামরুল ইসলাম। গত ২৫ নভেম্বর হাইকোর্ট থেকে বিচারিক আদালতে এক সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশের পর গত ২৮ নভেম্বর মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত আসামির জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
এরপর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন রাজউকের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমান। ঘটনার বিবরণে দেখা যায়, আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে লাভবান হওয়ার অভিপ্রায়ে পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ১৯৯৬ এর বিধিবিধান লঙ্ঘন করে ৩২ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বনানী, ঢাকায় এফ আর টাওয়ার নির্মাণ করেন।
১৫ তলার স্থলে ১৮ তলা ভবন নির্মাণ করায় দুদকের উপ-পরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিক পাঁচজনকে আসামি করে গত ২৫ জুন মামলা দায়ের করেন। জানা গেছে, মামলাটির অভিযোগপত্র (চার্জশিট) ইতোমধ্যে প্রস্তুত হয়ে গেছে। যেকোনো সময় আদালতে দাখিল করা হবে।
চলতি বছরের ২৮ মার্চ বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুন লাগে। এর পরপরই ভবনটির নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য উঠে আসে। এফ আর টাওয়ার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৫ জন মৃত্যুবরণ করেন ও ৭৩ জন পঙ্গু হয়ে যান।
এই মামলায় অন্য আসামিরা হলেন-ইজারাগ্রহীতা সৈয়দ মো. হোসাইন ইমাম ফারুক, রুপায়ন হাউজিং এস্টেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল, সাবেক চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন খাদেম ও রাজউকের সাবেক অথরাইজড অফিসার সৈয়দ মকবুল আহমেদ।