জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীতে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার শপথ নিয়েছে বিএনপি

ই-বার্তা ডেস্ক।।  জিয়াউর রহমানের ৩৮তম শাহাদতবার্ষিকীতে কারাবন্দি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার শপথ নিয়েছে বিএনপি।  বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে  সংসদ ভবন এলাকায় জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এই কথা জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ।

এর আগে শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বাণীতে বলেছেন, রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা, নির্ভীক নির্মোহ রাষ্ট্রনায়ক শহীদ জিয়ার আদর্শ, দেশপ্রেম, সততা ও কর্মনিষ্ঠা আজ জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রেরণার উৎস।  শহীদ জিয়ার অম্লান আদর্শ, দর্শন ও কর্মসূচি আমাদের স্বাধীনতা রক্ষা, বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং দেশীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির রক্ষাকবচ।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, তার জীবিতকালে জাতির চরম দুঃসময়গুলোতে জিয়াউর রহমান দেশ ও জনগণের পক্ষে অবস্থান করেন।  মহান স্বাধীনতার বীরোচিত ঘোষণা, স্বাধীনতাযুদ্ধে অসামান্য ভূমিকা এবং রাষ্ট্র গঠনে তার অনন্য কৃতিত্বের কথা আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।

তিনি বলেন, এই মহান জাতীয়তাবাদী নেতার জনপ্রিয়তা দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারী শক্তি কখনই মেনে নিতে পারেনি।  আর তাই চক্রান্তকারীরা ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে।  এ মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে একজন মহান দেশপ্রেমিককে দেশবাসী হারায়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান অগণতান্ত্রিক সরকার বিরোধী দলের অধিকার, চিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ভূলুণ্ঠিত করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে।  সে জন্য দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সাজানো মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে।  এ যেন গণতন্ত্রকেই কারাগারে আটকিয়ে রাখা।

তিনি বলেন, জাতীয় জীবনের চলমান সংকটে শহীদ জিয়ার প্রদর্শিত পথ ও আদর্শ বুকে ধারণ করেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। 

এদিকে জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে ১০ দিনের আলাদা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনসমূহ।

ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু