জুমার নামাজে আয়া সোফিয়ায় মুসল্লিদের ঢল
করোনার মধ্যে তুরস্কের আয়া সোফিয়ার জুমার নামাজে বিপুলসংখ্যক মানুষ অংশ নিয়েছে। এদিন সকাল থেকেই আয়া সোফিয়াতে ভিড় করতে শুরু করেন মুসল্লিরা।
আদালতের রায়ে পুনরায় মসজিদের মর্যাদা পাওয়া তুরস্কের ঐতিহাসিক আয়া সোফিয়ায় ৮৬ বছর পর আজ থেকে ফের নামাজ আদায় শুরু হয়।
একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে, পুনরায় মসজিদ হওয়ার পর প্রথম জুমার নামাজে অংশ নিতে মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। আয়া সোফিয়ার আশেপাশে রাস্তায় কাতারবন্দী মানুষ।
ডেইলি সাবাহ জানায়, আয়া সোফিয়া মসজিদে আজ আনুষ্ঠানিক নামাজে অংশ নেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ান।
এদিন সকাল থেকে হাজার হাজার মানুষ আয়া সোফিয়ায় আসতে শুরু করে। সেখানে বিপুলসংখ্যক নিরাপত্তা কর্মী নিয়োজিত হয়।চেকপোস্টে সবার মুখে মাস্ক এবং আলাদা জায়নামাজসহ মুসল্লিদের আয়া সোফিয়ার চত্ত্বরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়।
দুপুরের আগে ইস্তাম্বুলের গভর্নর আলি ইয়েরলিকায়া দুপুরের আগমুহূর্তে ঘোষণা দেন যে, আয়া সোফিয়ার আশেপাশে সব জায়গায় মুসল্লিতে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে।করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্বের বিধি নিষেধ মানতে নতুন কোনো মুসল্লিকে জুমার নামাজের সুযোগ দেয়া হবে না।
গত ১১ জুলাই ১৯৩৪ সালের এক ডিক্রি অবৈধ ঘোষণা করে আয়া সোফিয়াকে ফের মসজিদে রূপান্তরের পক্ষে রায় দেয় আদালত। প্রশাসনিক আদালত থেকে রায় পাওয়ার এক ঘণ্টা পর নতুন ডিক্রি জারি করেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান।
বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের অধিপতি সম্রাট প্রথম জাস্টিনিয়ানের নির্দেশে ষষ্ঠ শতাব্দীতে আয়া সোফিয়া নির্মিত হয়। ওই সময় এটিই ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গির্জা।
এরপর ১৪৫৩ সালে ইস্তাম্বুল ওসমানী খেলাফতের দখলে গেলে একে মসজিদে পরিণত করেন বিজেতা সুলতান মাহমুদ ফাতিহ।
ওসমানী খেলাফতের বিলুপ্তি হলে ১৯৩৪ সালে মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক স্বাক্ষরিত এক ডিক্রিতে মসজিদটিকে জাদুঘরে পরিণত করা হয়। এটি এখন ইউনেস্কো ঘোষিত একটি বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান।