ট্রাম্পের ফোন ধরতে অস্বীকার করেন রুহানি!
ই- বার্তা ডেস্ক।। সৌদি আরবের তেল ক্ষেত্রে ড্রোন হামলার জন্যে ইরানকে দায়ি করে বক্তব্য দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ঠিক এমন উত্তেজনার মধ্যে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানাচ্ছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ফোন দিয়েছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিকে। কিন্তু সেই ফোন ধরতে অস্বীকার করেন তিনি।
এএফপি জানায়, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিকে ফোন দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারা আরো জানায়, একটি ঐতিহাসিক বৈঠকের আয়োজন করতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রোর কূটনৈতিক চেষ্টার পর গত ২৪ সেপ্টেম্বর এ ঘটনা ঘটেছিল।
মধ্যপ্রাচ্যে একটি সর্বাত্মক যুদ্ধ এড়াতে উত্তেজনা কমিয়ে আনতে এমন চেষ্টা করেছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
কূটনৈতিক সূত্র আরো জানায়, নিউইয়র্কে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত একটা বৈঠকের আয়োজনের চেষ্টা চালিয়েছিলেন ম্যাঁক্রো। ট্রাম্প ও রুহানির সঙ্গে আলোচনায় এমন একটা বৈঠকের সম্ভাবনা তৈরি করেছিল। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে দুই নেতার একটি বিরল বৈঠক হতে পারে বলে গত মাসে বেশ জল্পনা চলছিল। কিন্তু রুহানি বলেন, ট্রাম্প যদি তেহরানের ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেন, তবেই কেবল বৈঠক হতে পারে।
নিউইয়র্কে ম্যাঁক্রো ৪৮ ঘণ্টায় ট্রাম্পের সঙ্গে তিন বার ও রুহানির সঙ্গে দুইবার দেখা করেন। তাদেরকে সরাসরি বৈঠকে বসতে অনুরোধ করেছিলেন তিনি।
সূত্র দাবি করছে, প্যারিসে ফিরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত ম্যাঁক্রোন চেষ্টা করে গেছেন। ফরাসি প্রযুক্তিবিদদের দিয়ে নিউইয়র্কে ট্রাম্পের লোটি ও রুহানির দ্য মিলেনিয়াম হোটেলের মধ্যে একটি নিরাপদ ফোন লাইনের সংযোগ স্থাপন করেছিলেন তিনি।
ইরানের প্রতিক্রিয়া নিয়ে সন্দেহের পরেও রাত ৯টায় ট্রাম্পের ফোন করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ফোন কল নিশ্চিত করতে ট্রাম্প দ্য মিলেনিয়াম হোটেলেও গিয়েছিলেন। ট্রাম্প কল দিয়েছিলেন, কিন্তু রুহানি ফরাসি প্রেসিডেন্টকে বলেন, তিনি এই ফোন ধরবেন না।
আলোচনা ক্রমে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়, যখন ইরান নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানায়। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমেই পরমাণু অস্ত্রে উচ্চাকাঙ্ক্ষা, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও অঞ্চলিক তৎপরতার লাগাম টানতে ইরানের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি চেয়েছে।