‘ডাকসু দে হারাম জাদা’
ই-বার্তা ।। ২৭ বছর যাবত বন্ধ ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে ওয়ালিদ আশরাফের অনশনের সময় থেকে ঢাবির দেয়ালে দেয়ালে লেখা হচ্ছে ‘ডাকসু দে হারাম জাদা’। এ লেখায় সয়লাব ঢাবির বিভিন্ন ভবনের দেয়ালগুলো।
নব নির্মিত রোকেয়া হলের গেট, ভিসি চত্বরের রাস্তা, কলাভবনের পিছনের দেয়ালগুলো, ভিসির বাসভবনের গেট, লেকচার থিয়েটার এবং ক্যাম্পাস হস্যাডসহ ক্যাম্পাসের যেদিকেই নজর পরছে সেদিকে লেখা ‘ডাকসু দে হারাম জাদা’।
তবে বিভিন্ন জায়গার লেখা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা রাতের আধারেই মুছে দিচ্ছে। আন্দোলনকারীরা বলছেন, যারা ডাকসু নির্বাচন চায়না তারাই এই আন্দোলনের ভাষাকে রুখে দিতে চায়।
আন্দোলনে এরকম ভাষা ব্যবহার করায় ক্ষুব্ধ হচ্ছেন শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা। হারামজাদা শব্দটি ব্যবহার করায় এর সমালোচনা করছেন অনেক শিক্ষার্থী। তারা বলছেন, এ ধরণের শব্দ ব্যবহার নিম্ন ধরণের মানসিকতা। কিন্তু অনেকে বলছেন, বাংলাদেশে এ শব্দটি আন্দোলনের একটি পরিভাষা। তাই ব্যবহার করা যেতেই পারে।
ঢাবি শিক্ষার্থীরা বলছে, ২৭ বছর যাবত ডাকসু নির্বাচন হয়না, তাই গালিটা একক কারো গায়ে লাগার কথা না। সবারই গায়ে লাগা উচিত এবং নির্বাচনটা দেয়া উচিত। গালিটা শুনতে খারাপ লাগছে বাট ২৭ বছর যাবত দেশ ও জাতি ডাকসুর সার্ভিস পাচ্ছেনা সেটা কি কখনো ভেবেছেন? গালিটা আরো অভদ্র হলেও দোষনীয় কিছু দেখছি না। কারণ যারা এত বছর ধরে ডাকসু আটকে রেখেছে তারা কোন ভাল আত্মানা। প্রেতাত্মা।
এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ডাকসু নির্বাচন অনেক জরুরি বুঝলাম। আমিও চাই ডাকসু নির্বাচন হোক। কিন্তু এটা কি ধরণের প্রতিবাদের নমুনা। শ্যাডোর পাশে ফটোকপির দোকান বরাবর উপরে দেয়ালে লিখা “ডাকসু দে হারামজাদা” কলাভবনের পিছনের দেয়ালগুলো একদম নতুন রঙ করা। সেখানেও লিখা, লাশটা বাপ-মার কাছে পৌঁছে দিতে। বাহিরের মানুষরা কি ভাববে এইসব লিখা এইভাবে একটা গেটে লিখে রাখলে। আমাদের স্টুডেন্টদেরই বা কেমন ভাববে? এইরকমভাবে চলতে লাগলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বেশিদিন দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের গৌরব আর সম্মান কিন্তু ধরে রাখতে পারবে না।
ঢাবি ভিসি ওয়ালিদ আশরাফকে আশ্বাস দিয়ে তার ১৫ দিনের অনশন ভাঙ্গিয়েছেন। বলেছেন, তারা নির্বাচনের ব্যবস্থা নিবেন।