তারেক রহমানকে ফরমায়েশি রায়ে সাজা দেয়া হয়েছেঃ রিজভী
ই- বার্তা ডেস্ক।। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মন্তব্য করেছেন যে, একুশে আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়াম্যান তারেক রহমানকে ফরমায়েশি রায়ে সাজা দেয়া হয়েছে ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা প্রথম থেকেই দেখছি-আওয়ামী লীগ একুশে আগস্ট বোমা হামলা মামলা নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রাজনীতি করছে। মূলত ২১ আগস্টের ঘটনা ছিল গভীর নীলনকশার অংশ, যে নীলনকশার সঙ্গে ক্ষমতাসীনরা জড়িত কিনা তা নিয়ে জনমনে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। এ মামলার সামগ্রিক সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত হলে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসত। কিন্তু তা না করে সুপরিকল্পিত নীলনকশা অনুয়ায়ী এ ঘটনাকে ন্যক্কারজনক কায়দায় সম্পূর্ণ রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করে আসছে আওয়ামী লীগ। তার বড় প্রমাণ হলো- কথিত সম্পূরক চার্জশিটের নামে এ মামলায় তারেক রহমানকে জড়িয়ে ফরমায়েশি রায়ে সাজা দেয়া, যা ছিল সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, গভীর ষড়যন্ত্রমূলক ও দীর্ঘদিনের মাস্টারপ্ল্যানের ফসল।
তিনি বলেন, ১/১১-এর পর ১৬৪ ধারায় মুফতি হান্নানের জবানবন্দিতে তারেক রহমানের নাম ছিল না। শুধু এ মামলায় তারেক রহমানের নাম বলানোর জন্য অন্য মামলায় ৪১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে অমানসিক ও নির্মম নির্যাতন করা হয় মুফতি হান্নানকে। তার হাত-পায়ের নখ পর্যন্ত উৎপাটন করে ফেলা হয়। পৃথিবীর কোনো দেশেই এ ধরনের নজির নেই। ৪১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করে মুফতি হান্নানকে দিয়ে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানের নাম বলতে ও তথাকথিত স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করেন কাহহার আকন্দ, যার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। একই ব্যক্তির একই মামলায় দুবার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির নজিরও নেই।
পরবর্তী সময়ে আদালতে আবেদন করে মুফতি হান্নান তার তথাকথিত স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্যও প্রত্যাহার করে নেন এবং তার ওপর বর্বোরচিত নির্যাতনের বিবরণ দেয়। মুফতি হান্নানের ওপর নির্যাতন চালিয়ে তারেক রহমানকে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ফাঁসানোর জন্য পুরস্কারস্বরূপ কাহার আকন্দের বারবার পদোন্নতিসহ চাকরির মেয়াদ বাড়ানো হয়।
একুশে আগস্ট জড়িত থাকলে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দেশ ছেড়ে পালাতেন এমন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, যখন প্রধানমন্ত্রী বলছেন- খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান জড়িত তা হলে এত বড় ঘটনার পর তাদের তো দেশ থেকে সরে যাওয়ার কথা। অপরাধ করলে তারেক রহমান দেশ থেকে সরে যেতেন। কিন্তু তিনি তো দেশ থেকে কোথাও যাননি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া শেষ দিন পর্যন্ত গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন। তার যে সংগ্রাম এ সংগ্রাম হচ্ছে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার সংগ্রাম। আজ দেশনেত্রীর পর্বতসম জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে শুধু প্রতিহিংসাপরায়ণতায় ৫৬১ দিন কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রী ও তার দলের কতিপয় নেতা নির্জলা মিথ্যাচার প্রপাগান্ডায় জনগণকে বিভ্রান্ত করার নিস্ফল চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে সত্য চেপে রাখা যায় না।