তার মানে তাদের সঙ্গে আপনার একধরনের সেটেলমেন্ট হয়েছে : হাইকোর্ট
ই-বার্তা ।। হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে গুলিভর্তি পিস্তলসহ এক যাত্রীকে আটকের পর বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার ঘটনায় বিমানবন্দর থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে ভর্ৎসনা করেছেন হাইকোর্ট। এরা হচ্ছেন থানার ওসি নূর-ই-আজম মিয়া ও এসআই সুকান্ত সাহা।
বুধবার আদালতে হাজির হয়ে ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের ভর্ৎসনা করেন।
আগামী ৩০ জানুয়ারি এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশ দেবেন আদালত। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ। দুই পুলিশ কর্মকর্তার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ জানান, গত বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে আজমত রহমান বিদেশ যাওয়ার সময় বিমানবন্দরে অস্রসহ ধরা পড়েন। এ ঘটনায় পুলিশ একটি জিডি করে তবে বাবার জিম্মায় আজমতকে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনা নিয়ে গত বছর ১০ ডিসেম্বর পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। দুই দিন পর ১২ ডিসেম্বর আদালতের নজরে আনা হয়। এরপর আদালত সুয়োমুটোভাবে আদেশ দেন। আদেশে ওই দুই পুলিশকে তলব করা হয়। এবং এ ঘটনার বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে তাদের প্রতি রুল জারি করেন আদালত।
নিষিদ্ধ এলাকায় গুলিবর্তি পিস্তলসহ ধরা পড়ার পর সংশ্লিষ্ট থানায় করা সাধারণ ডায়রির (জিডি) অধীনে আজমত রহমানের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আদালতে সোপর্দ না করার ব্যাখ্যা জানতে কেন বিমানবন্দর থানার ওসি ও এসআইকে আদালতে সশরীরে হাজির হতে নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।
বুধবার শুনানি কালে আগের এসব ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, এ ঘটনার পর এসআই সুকান্ত সাহার বোন ফারমার্স ব্যাংকে চাকরি পান। এ ঘটনা উল্লেখ করে আদালত দুই পুলিশ কর্তকর্তাকে ভর্ৎসনা করে বলেন, তাহলে কনসিকোয়েন্সটা কী দাঁড়াল? এ ঘটনার পরই আপনার বোনের চাকরি হয়েছে। তার মানে তাদের সঙ্গে আপনার (এসআই) একধরনের সেটেলমেন্ট হয়েছে।’
রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী আরও বলেন, ‘এরপর আদালত ওসির উদ্দেশে বলেন, ২০১২ সাল থেকে আমি ফৌজদারি আদালতে আছি। বিমানবন্দরে অল্প স্বর্ণ ধরা পড়লেই আপনারা কয়েক দিনের মধ্যেই চার্জশিট দিয়ে ফেলেন। যখন ১০০-২০০ কেজি ধরা পড়ে তখন চার্জশিট দেন না। বছরের পর বছর ঝুলিয়ে রাখেন। আদালত এসব কথা বলে ভর্ৎসনা করেন